হাইকোর্টের সামনে ছিনতাইকারীদের হাতেই খুন হয়েছেন ডিশ ব্যবসায়ী এবং জাসদ নেতা হামিদুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে দুই ছিনতাইকারী যখন তার টাকা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে তখন তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তার। তখন ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় সেখানে কয়েকজন পথচারী দেখে ফেলায় তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এতে তার সঙ্গে থাকা ১৬ হাজার টাকা তারা নিতে পারেনি ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেপ্তার করার কারণে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম জানায়নি পুলিশ। পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি বিস্তারিত জানাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এ ঘটনার সঙ্গে আর অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে পল্টনকেন্দ্রিক যে ডিশ ব্যবসা রয়েছে এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার রাতে হাইকোর্টের সামনে ছুরিকাঘাতে মারা যান হামিদুল। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (বাংলাদেশ জাসদ) ঢাকা দক্ষিণের সমবায় সম্পাদক ও শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুনুর রশীদ জানান, ‘হামিদুল ছিনতাইকারীদের হাতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ছিনতাই ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশীদ জানান, ‘আমরা সংবাদ সম্মেলন করে পরে বিষয়টি বিস্তারিত জানাবো।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের রমনা বিভাগের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামিদুলের সঙ্গে পল্টন এলাকার একাধিক ডিশ ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে ছিল। তাদের সঙ্গে ঝগড়া-ঝাঁটিরও ঘটনা ঘটেছে। হামিদুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ডিশ ব্যবসার কোনো সংযোগ আছে কি-না খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সূত্র জানায়, ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পল্টন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ ঘটনার সঙ্গে পল্টন থানার এক যুবলীগ নেতার নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গেছে। তিনি পুলিশের নজরদারিতেই আছেন। হামিদুল সেগুন বাগিচা হাইস্কুলের পাশে বসতি ময়ূরী নামে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার গোয়ালকান্দি কলেজ রোডে।