× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা নিয়ে ড. ফাউচিকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক  প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজের মহাপরিচালক ড. অ্যান্থনি ফাউচির মধ্যে বিরোধ বেশ কিছুদিনের। বিশেষ করে করোনাভাইরাস সংক্রমণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ তীব্র থেকে তীব্র হতে থাকে। যখন করোনা সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে, ঘরে ঘরে কান্না, লাশ ডাম্পিং করে রাখা হয়েছে হয়তো মর্গে না হয় হিমায়িত ট্রাকেÑ তখনও  ট্রাম্প করোনা সংক্রমণকে পাত্তা দেননি। গ্রহণ করেননি স্বাভাবিক ব্যবস্থা। উল্টো এই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে অনেক কম করে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি অ্যান্থনিকেও অনুরোধ করেছিলেনÑ তিনি যেন এই ভাইরাসের ভয়াবহতাকে বড় করে না দেখান। অর্থাৎ তিনি  যেন করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াবহতা যতটা, তার থেকে কম করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন।
রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ এবং এ সময়ের মধ্যে ভাইরাসে মারা গিয়েছেন কমপক্ষে চার লাখ ২৯ হাজার।
কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বিশেষ করে ট্রাম্পের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয় ড. অ্যান্থনি ফাউচির। তিনি এই সংক্রমণকে বার বার ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেন। এর  প্রেক্ষাপটে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার বিরুদ্ধে  জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি উল্টো ড. ফাউচির কড়া সমালোচনা করতে থাকেন। এমনকি তার মেক আমেরিকা  গ্রেট এগেইন (এমএজিএ) সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণার সময় ড. অ্যান্টনি ফাউচিকে দায়িত্ব  থেকে সরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্লোগান  দেয়।
কিন্তু ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে কাজ করছেন ফাউচি।  রোববার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে আশাবাদী হতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।  বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যখন করোনা মহামারিতে ডুবে যাচ্ছিল তখনো তিনি তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন এই সংক্রমণের ভয়াবহতাকে কম করে দেখাতে।
 রোববার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, আমি সব সময় এই ভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে আমার মতামত  দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তখনকার   প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক্ষেত্রে সাড়া ছিল খুবই কম। তিনি ভয়াবহতাকে অনেক কম করে  দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেনÑ এটা অতটা খারাপ না। ঠিক আছে? তার এমন বক্তব্যের জবাবে আমি বলেছিলামÑ হ্যাঁ এটা এতটাই ভয়াবহ।
ড. ফাউচি বলেন,  বাস্তবে পরিস্থিতি যা ছিল, তার ঠিক উল্টোটা বলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার যখনই আমি করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি বর্ণনা করেছিলাম বিবৃতিতে, তখনই প্রেসিডেন্ট আমাকে ফোন করেছেন এবং বলেছেনÑ আপনি কেন ইতিবাচক নন? আপনাকে ইতিবাচক হতে হবে। আপনি কেন নেতিবাচক কথাবার্তা বলছেন? ইতিবাচক কথা বলুন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর