× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১০ বছরে শিক্ষার্থী বেড়েছে তিনগুণ / যুক্তরাষ্ট্রে পড়ছে ৮৮০০ বাংলাদেশি

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অধ্যায়নের সুযোগ লাভ করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সরবরাহ করা তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রগামী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০৯ সাল থেকে ১০ বছরে তিনগুণ বেড়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ছিল এযাবৎকালের সর্বোচ্চ শিক্ষার্থীর অবস্থান। নতুন করে (চলতি বছরে) অনেকে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জানিয়ে দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতিতে থাকা এসব শিক্ষার্থীরা (বহির্গামী শিক্ষার্থী) গত শিক্ষাবর্ষে দেশটিতে অধ্যয়নের সুযোগ পাওয়া (বর্তমানে পড়ছে) ৮,৮০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে যুক্ত হবেন। ২০২১ সালের স্প্রিং সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের জন্য গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা-পূর্ব একটি পরিচিতি অনুষ্ঠান করেছিল ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ২৪শে জানুয়ারি ভার্চ্যুয়ালি (জুম প্ল্যাটফরমে) হয়ে যাওয়ার ওই অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এবং দূতাবাসের এডুকেশন-ইউএসএ দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা, একাগ্রতা ও উদ্ভাবনী শক্তির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি অধ্যয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমনেচ্ছুদের অভিনন্দন জানান।
একই সঙ্গে তিনি তাদের নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে এবং সৃষ্টিশীল, প্রাতিষ্ঠানিক, পেশাগত ও ব্যক্তিগত বিকাশ সাধনের এই রোমাঞ্চকর অভিযানে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতির জন্য নিঃসঙ্কোচে অন্যদের সহায়তা নিতে উৎসাহিত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, সফলভাবে একটি প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর এই শিক্ষার্থীরা সারা আমেরিকাজুড়ে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হবেন। দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল কয়েকজন বিশিষ্ট বক্তার উপস্থাপনা। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন দূতাবাসের কন্স্যুলার সেকশন এবং এডুকেশন-ইউএসএ’র প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক কর্মকর্তা, বর্তমান শিক্ষার্থীরা এবং আমেরিকান অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সম্ভাব্য যেসব প্রাতিষ্ঠানিক, সাংস্কৃতিক ও জীবনযাত্রার পার্থক্য প্রত্যক্ষ করবেন সে সম্পর্কে ব্যবহারিক পরামর্শ ও বিচিত্র দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন আলোচকরা। অধ্যয়ন ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ যেসব নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে সেগুলো বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উঠে এসেছে আলোচনায়। রাষ্ট্রদূত মিলার তার স্বাগত বক্তব্যের শেষে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের সামনের অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমে সচেষ্ট হতে এবং সহায়ক জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থবহ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সারা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনুকরণীয় আদর্শ বিধায় এডুকেশন-ইউএসএ দলের প্রতিনিধিরা তাদেরকে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন ও অধ্যয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের তাগিদ দেন। দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে এডুকেশন-ইউএসএ’র পরামর্শ সেবা এবং তথ্যোপকরণ ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার, ধানমণ্ডির এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দি আর্টস, চট্টগ্রামের আমেরিকান কর্নার এবং খুলনার আমেরিকান কর্নারে পাওয়া যাবে। এসব সেন্টারে প্রশিক্ষিত পরামর্শকরা তথ্য প্রদানের জন্য গ্রুপ বা দলভিত্তিক সেশন পরিচালনা করবেন এবং শিক্ষার্থী ও তাদের মাতা-পিতাদের জন্য পৃথক পরামর্শ সেবা প্রদান করবেন। এডুকেশন-ইউএসএ’র তথ্যোপকরণ ও বই-পত্র এবং দূর-পরামর্শ সেবা সিলেট ও রাজশাহীর আমেরিকান কর্নার থেকেও পাওয়া যাবে। তাছাড়া দূতাবাস এবং এডুকেশন-ইউএসএ’র ওয়েবসাইট থেকেও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ সংক্রান্ত তথ্যাবলীর আপডেট পেতে পারেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর