× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা লকডাউন: সহিংসতাকে গৃহযুদ্ধ বলে সতর্কতা ডাচ মেয়রের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২৬, ২০২১, মঙ্গলবার, ১:৫৮ অপরাহ্ন

কারফিউ বিরোধী বিক্ষোভ যে মাত্রায় সহিংস হয়ে উঠেছে তা ‘গৃহযুদ্ধের’ দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ডাচ মেয়র জন জোরিতস্মা। ফ্রান্স ও ইতালি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে আবার যখন নতুন এক লকডাউনের মুখোমুখি তখন এমন সতর্কতা দিয়েছেন তিনি। ইউরোপের দেশে দেশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সেখানে বিধিনিষেধ আরো কঠোর করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিভিন্ন দেশ। অন্যদিকে বিধিনিষেধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে বিশৃংখলা। এ সপ্তাহে ফ্রান্সে তৃতীয় দফায় লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। ইতালিতে মেডিকেল বিষয়ক শীর্ষ স্থানীয়রা নতুন করে শাটডাউন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমন অবস্থার মধ্যে ইউরোপে করোনার টিকাদান কর্মসূচি এক বিশৃংখল অবস্থায় পড়েছে।
প্রথমবারের মতো সোমবার ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউট স্বীকার করেছে তারা করোনা ভাইরাসের যে টিকা নিয়ে গবেষণা করছিল, তা আদতে কাজ করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক মার্ক-এর সঙ্গে যৌথভাবে তারা টিকা নিয়ে কাজ করছিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে সরবরাহ চেইনের এস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। এ অবস্থায় নেদারল্যান্ডসে দাঙ্গা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সেখানকার মেয়র সতর্ক করে বলেছেন, আমরা গৃহযুদ্ধের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি ইন্দোভেনের মেয়র।
এতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইউরোপের লড়াই এক ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। বিভিন্ন দেশ নতুন করে কঠোর লকডাউনের দিকে অগ্রসর হয়েছে। এর প্রতিবাদ হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্কের পরিস্থিতিকে ‘গৃহযুদ্ধ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ফ্রান্সে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স। এ অবস্থায় দেশজুড়ে তৃতীয় দফায় লকডাউন দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে ফরাসি সরকার বৈঠকে বসবে। এখানে উল্লেখ্য, গত সপ্তাহান্তে চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গা দেখা দেয় ইন্ডোভেনে। এর প্রেক্ষিতে সেখানকার মেয়র জন জোরিতস্মা গৃহযুদ্ধের সতর্কতা দিয়েছেন।
ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউট জানিয়ে দিয়েছে তাদের টিকা কার্যকর নয়। তারা এমন এক সময়ে এই ঘোষণা দিয়েছে যখন, অক্সফোর্ড/এস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন দেয়নি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রকরা। তবে এস্ট্রাজেনেকা এরই মধ্যে সরবরাহ চেইনে নানা রকম সমস্যার কারণে ইউরোপে পূর্ব প্রতিশ্রুত পরিমাণ শতকরা ৬০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, বেলজিয়ামে তাদের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে কম টিকা উৎপাদনের কারণে এমনটা করা হচ্ছে। সোমবার এ জন্য তাদেরকে ফোন করেছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান নির্বাহী উরসুলা ভন ডার লিন। তিনি এস্ট্রাজেনেকাকে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকলে স্বীকার করেছেন, আগামী গ্রীষ্ম শেষ হওয়ার আগেই ইউরোপের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭০ ভাগকে টিকা দেয়া হবে। কিন্তু এই পরিকল্পনা এতে জটিল হয়ে পড়বে।
নেদারল্যান্ডসে সামনের কয়েক দিন বা সপ্তাহে নতুন নতুন বিধিনিষেধ আসতে পারে। ফলে এ সময়ে সেখানে অস্থিরতা আরো বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে পুলিশ। ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তি দাঙ্গাকারীদের সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা দাঙ্গা অব্যাহত রাখলে একে ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে দেখা হবে। কারণ, দেশের শতহকরা প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষ দেশে কারফিউ সমর্থন করছেন।
করোনা সংক্রমণের কারণে ইউরোপের কয়েক ডজন এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সফর বাতিল করার সুপারিশ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। কারণ, এই মহাদেশের অনেক স্থান এখন করোনার হটবেড। এর মধ্যে রয়েছে ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন। মাদ্রিদ নিজেদের মতো করে কারফিউ ঘোষণা করেছে। ভ্যালেন্সিয়ায় ঘরের বাইরে দু’জনের বেশি মানুষকে একত্রিত হতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে নিজের এলাকা ক্যাটালোনিয়ায় স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পদত্যাগ করেছেন স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইলা।
গত বছর মার্চে যখন বেশির ভাগ দেশ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে চলে যায়, তখন ইউরোপ যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা দ্বিতীয় দফা করোনার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর