× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভোটে থাকতে ডা. শাহাদাতের দুই সেট এজেন্ট প্যানেল

দেশ বিদেশ

ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
২৭ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার

মামলা-হামলা আর হুমকির পরও ভোটের মাঠে শেষটা দেখতে চান বিএনপি’র নেতারা। ধরপাকড় ও এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত মেয়র নির্বাচন ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মাঝপথে সরে আসলেও এবার লড়ে যেতে চান তারা। সেজন্য কৌশলগত কারণে ধরপাকড় ও হয়রানি এড়াতে এবার মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দুই সেট এজেন্ট প্যানেল প্রস্তুত করেছে বিএনপি নেতারা। তাদের ভাষ্য, সরকারদলীয় কর্মীরা এজেন্টদের কোনো একজনকে বাধা দিলে যাতে অন্যজনকে ভোট কেন্দ্রে পাঠানো যায়।
এজেন্টদের যাতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অনুরোধও করা হয়েছে বিএনপি’র প্রার্থীর পক্ষ থেকে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চসিক নির্বাচনের প্রচারণায় গত ২১ দিনে ১২ মামলায় বিএনপি’র হাজারও নেতাকর্মীকে বন্দি করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে।
এরমধ্যে ৫৬ জনই এজেন্ট। এ ছাড়া নির্বাচনের তিনদিন আগে থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সে কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে।
নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে গণগ্রেপ্তারের কারণে দলীয় কর্মীরা এখন এলাকাছাড়া। বিএনপি’র অনেক নেতাকর্মী এখন আত্মীয়স্বজনের বাসায় আত্মগোপন করেছেন। এমনকি বাসায় না পেলেও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ভোটের দিন নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছে। সে কারণে প্রশ্ন ওঠেছে ভোটের দিন ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষের জন্য পোলিং এজেন্ট পাওয়া যাবে কিনা। সব বিবেচনায় নিয়ে শুধুমাত্র ভোটের মাঠে থাকতে দুই সেট পোলিং এজেন্ট প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান আবুল হাশেম বক্কর।
বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোটের আগেই আতঙ্ক ছড়াতে নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এতেও আমাদের নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। আমরা শেষটা দেখতে চাই। আমাদের এজেন্টদের ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি ধমকি দিলেও আমরা কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ করবো। কৌশলগত কারণে আমরা দুই সেট এজেন্ট নিয়োগ করেছি। কোনো কারণে একজন মিস হলে অন্যজনকে নিয়োগ করবো।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আবার অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দিয়েছে। এবারও যদি সেরকম হয় তাহলে করার কিছু নেই। এরপরও বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে উন্মুখ হয়ে বসে আছে। আমরা কৌশলগত কারণে দুই সেট এজেন্ট প্যানেল তৈরি করে রেখেছি। যতই বাধা আসুক আমরা ভোটের মাঠের শেষটা দেখে ছাড়বো।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর