প্রথম ধাপে খুলনায় করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন ৫ হাজার মানুষ। এ জন্য ৯টি উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি তালিকা করা হয়েছে। এদিকে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রথম ধাপে কি পরিমাণ টিকা দেয়া হবে তা বিস্তারিত জানা যাবে আজ বুধবার।
খুলনা সিটি করপোরেশনের সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। তালিকা এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আজ বুধবার সকালে করোনা ভ্যাকসিন টিকা কমিটির সভা আছে। এরপর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে টিকাগুলো নগরীর ৪টি পয়েন্টে রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এগুলো হলো নগরীর শেরে-বাংলা রোডের নগর স্বাস্থ্য ভবন, তালতলা হাসপাতাল, খালিশপুর লাল হাসপাতাল এবং নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নগরীতে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকাসহ একাধিক টিম টিকাদানের কাজ করবে।
এদিকে, খুলনার ৯টি জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে করোনা টিকা প্রদানের তালিকা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় ৫ হাজার মানুষকে প্রথম ধাপে টিকা দেয়া হবে। উপজেলাগুলোতে মোট ১৮টি টিম টিকা প্রদানের কাজ করবে। প্রত্যেক উপজেলায় ২টি টিম থাকবে। একটি টিমে ৬ জন সদস্য। এর মধ্যে দু’জন টিকা প্রদান করবেন এবং ৪ জন সহযোগিতা করার দায়িত্বে থাকবে। সরকারের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার পর সেটি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে রিজার্ভ রাখা হবে। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টিকা পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতে পাঠানো হবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, নগরীর তালিকা এখনো আমার হাতে আসেনি। তবে ২-১ দিনের মধ্যে জানতে পারবো। প্রথম ধাপে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এ্যাপসের মাধ্যমে যারা আবেদন করবেন তাদের টিকা দেয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে বয়স্কদের দেয়া হবে। তৃতীয় ধাপে আবার প্রথম ধাপে টিকা যারা নিয়েছেন তাদের দেয়া হবে। কারণ প্রত্যেককে টিকা দু’বার নেয়া লাগবে। প্রথমবার নেয়ার ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় তাকে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, করোনা টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়া হবে। কেউ এটা নিয়ে অর্থবাণিজ্য করার সুযোগ নেই।