× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম ভ্যাকসিন নিচ্ছেন রুনু

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিন নিচ্ছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু কস্তা। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে রুনুকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে। তারপর হাসপাতালের আরো কয়েকজন স্টাফকে টিকা দেয়া হবে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনুর পুরো নাম রুনু বেরোনিকা কস্তা। বয়স ৩৯ বছর। ৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত আছেন। রুনুর পর টিকা নেবেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নী আক্তার এবং রিনা সরকার। একইসঙ্গে ভ্যাকসিনেটর বা ভ্যাকসিন (পুশ) প্রদানের জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার ও দীপালি ইয়াসমিনের নাম রয়েছে এই তালিকায়।
এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন নেবেন ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন। এ ছাড়া একাধিক আনসার সদস্যের নামের তালিকা রয়েছে এই তালিকায়। সূত্র জানায়, প্রথম টিকা গ্রহীতা হিসেবে রুনু কস্তা শারীরিকভাবে ফিট (প্রস্তুত) না থাকলে তালিকায় থাকা নার্স মুন্নী আক্তার অথবা রিনা সরকারকে টিকা প্রদান করা হবে।
হাসপাতালে কর্মরত একজন তরুণ ভলান্টিয়ার করোনা ভ্যাকসিনের অনলাইন আবেদনপত্র দেখিয়ে বলেন, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। যেহেতু আমাদের হাসপাতালে সর্বপ্রথম টিকা নেয়ার সুযোগ আছে তাই আগেভাগেই অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করেছি। টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন কিনা- জানতে চাইলে এই স্বেচ্ছাসেবী জানান, প্রত্যেক জিনিসেরই একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। এক্ষেত্রেও করোনার টিকা নেয়ার পর জ্বর, সাময়িকভাবে চেতনা হারানো, মাথাব্যথাসহ একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যেখানে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে হাজারো আক্রান্ত রোগীকে সামলেছি, সেখানে টিকা তো খুবই সামান্য একটি বিষয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য গত রোববার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে কীভাবে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে, সে সম্পর্কে ১০ জন নার্স, ৮ থেকে ১০ জন চিকিৎসক এবং কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের একাধিক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সূত্র আরো জানায়, হাসপাতালে ভ্যাকসিনেটর হিসেবে দায়িত্বরত দুই নার্সের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে থাকবেন একটি বেসরকারি সংস্থার চারজন স্বেচ্ছাসেবক। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমদ বলেন, করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধনের জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতাল পুরোপুরি প্রস্তুত। মঙ্গলবার বিকালে প্রাথমিক ড্রাই রান (মক) করা হয়েছে। রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নার্সসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে পরীক্ষামূলক টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ কার্যক্রম। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর