× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বগুড়ার বাঁধাকপি রপ্তানি হচ্ছে ছয়টি দেশে

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২৭, ২০২১, বুধবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

বাঁধাকপি উৎপাদনের জন্য উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সুনাম রয়েছে। প্রতিবছর ভরা মৌসুমে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ হতেন কৃষকেরা। কখনও কখনও চাষের খরচও তুলতে পারতেন না তারা। কিন্তু সেই দিন বদলাতে শুরু করেছে। বগুড়ার বাঁধাকপি এখন রপ্তানি হচ্ছে ছয়টি দেশে। এই রপ্তানিতে ভূমিকা রাখছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসওয়া এগ্রো লিমিটেড।
তারা নিজস্ব উদ্যোগে কৃষিজাত পণ্য- আলু, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিসহ চাষীদের ন্যায্য মূল্য প্রদান, বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করা এবং নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্য দাম পাওয়ায় আবাদী চাষীরা আরো উৎসাহী হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৪০ লাখ টন আলুর চাহিদার বিপরীতে গড়ে প্রায় ৮০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হচ্ছে। অবশ্যই এটা শুভ লক্ষণ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে আমাদের দরিদ্র আলু চাষীরা এর সুফল তেমন একটা পাচ্ছে না, উৎপাদন মৌসুমে আলুর ন্যায্যমূল্য না পাওয়া কিংবা ন্যায্যমূল্যের আশায় বিকল্প হিসেবে কোল্ডস্টোরে সংরক্ষণ করতে না পেরে আলুর চাষীরা অনেক সময় তা পানির দরে বিক্রি করে দেয়।
আলু রপ্তানি বাড়াতে পারলে চাষীদের  এই হাহাকার কমানো সম্ভব।
এ বিষয়ে মাসওয়া এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আজাদ প্রিন্স বলেন, “তিনি নিজে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হলেও সম্ভাবনা ও বিদেশি বায়ারদের আগ্রহ দেখে ব্যবসায়িক ঝুঁকি নিয়েই বগুড়ার বাঁধাকপি রপ্তানির কাজ শুরু করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আরব-আমিরাত এ আলু, মিষ্টি কুমড়া ও বাঁধাকপি রপ্তানি করছি। করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা গত ডিসেম্বর থেকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া বাঁধাকপি রপ্তানি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা ৭০ কন্টেইনার যার ওজন দাঁড়ায় ১৪০০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি রপ্তানি করেছি। আরও ২০ কন্টেইনার ওজন হিসেবে ৪০০ মেট্রিক টন। জানুয়ারির শেষ দিকে আলুও রপ্তানি শুরু করব। গত বছর আমরা প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করেছি। এবছরে ১৫ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করতে পারব বলে আশা করছি। উত্তরবঙ্গের বগুড়া, জয়পুরহাট, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তৃণমূল চাষীদের কাছ থেকে আলু, মিষ্টি কুমড়া ও বাঁধাকপি সংগ্রহ করা হয়। তারপর আমাদের নিজস্ব প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করে আমরা সেগুলো রপ্তানি করছি”।
তিনি আরো জানান, পর্যাপ্ত প্রিকুলিং ব্যবস্থা না থাকায় এবং পণ্য পরিবহনে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে  রপ্তানি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে রপ্তানী বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিজ্ঞপ্তি
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর