বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রী অফিস কক্ষে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উভয়পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান। বাংলাদেশ থেকে চা, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক পণ্য, পাদুকা, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য পাকিস্তানে রফতানি হয়। এ রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। সেগুলো দূর করা গেলে বাণিজ্য আরো বাড়বে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করার বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানো যায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অতি সম্প্রতি হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান অ্যান্টিডাম্পিং কর আরোপ করেছে। এ ধরনের পদক্ষেপ বাণিজ্য বিকাশে বাধা। আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান যে কোনো সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। উভয় দেশের মধ্যে গঠিত জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের (জেইসি) সভায় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা সম্ভব। বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া যেতে পারে।
এ সময় পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী পাকিস্তান। পাকিস্তানিদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশ সফরের ভিসা সহজ এবং পণ্য পরিবহনে ঢাকা-করাচি সরাসরি যোগাযোগ চালুর অনুরোধ করেন হাইকমিশনার। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের একক বাণিজ্যমেলা করার আহ্বান জানান এবং জেইসির ৯ম সভা অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাকিস্তানে ৫০.৫৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময় আমদানি করেছে ৫৪৩.৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্য জটিলতা দূর হলে পাকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরো বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।
আহ্সান
৩০ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ৬:৫৬আগে ৭১ সালে যা করেছে তার জন্য বাংলাদেশের মানুষ এর কাছে মাফ চাও এবং পাওনা হিসাবে তাড়াতাড়ি ফেরত দাও। তার পর অনেক কথা বলা , অনেক চুক্তি সই হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা ও্ আসল কথা। আল্লাহ হাফেজ। আল্লাহ ওদের শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিন।