নারী ভোটারকেই ফ্যাক্টর মনে করছেন কটিয়াদি পৌরবাসী। নারী ভোট যিনি বেশি টানবেন তিনিই পার হবেন নির্বাচনী বৈতরণী। তাই নারী ভোটারদের মন যোগাতে গণসংযোগ, পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠককেই প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে ৪ জন দলীয় প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান মেয়র শওকত উসমান শুক্কুর আলী। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও দু’বারের সাবেক মেয়র মো. তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ, জাতীয় পার্টি থেকে নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এডভোকেট আলাউদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আম প্রতীক নিয়ে আবদুল বাতেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশতাকুর রহমানের পুত্রবধূ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তরিকুল মুস্তাক রানার সহধর্মিণী মিসেস সালমা আনিকা মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রচার-প্রচারণায় সরকারদলীয় প্রার্থীর সরব প্রচারণা থাকলেও অন্যরা হামলা-মামলার ভয়েই সভা সমাবেশ, মিছিল মিটিং পরিহার করে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে গণসংযোগকেই বেছে নিয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর পর স্বতন্ত্র বা বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের স্থানে স্থানে কিছু পোস্টার চোখে পড়লেও নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, সাঁটানো পোস্টারগুলোও ধীরে ধীরে প্রচারণার মাঠ থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
রাতের আঁধারে কে বা কারা এসব পোস্টার গায়েব করে ফেলছে। সরব-নীরবের প্রচারণায় ভোটারগণও মুখ খুলতে চান না। তবে নৌকা, ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সাধারণ ভোটারদের ধারণা নৌকা, ধানের শীষ ও মোবাইল ফোন প্রতীকে লড়াই হবে ত্রিমুখী। সরকারদলীয় প্রার্থী শওকত উসমান শুক্কুর আলী সভা সমাবেশ, ওঠান বৈঠকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার সুযোগ চেয়ে নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি টাকায় ভোট কিনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করারও অভিযোগ তুলছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ বলেন, সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা গায়ে পড়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছেন। কোনো অজুহাত পেলেই মামলা মোকদ্দমা করে নেতাকর্মীদের হয়রানির পরিকল্পনা করে চলেছেন। বিভিন্ন স্থানে আমার মাইকিং প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, সরকারদলীয় প্রার্থীরা মাইকিং প্রচারণায় উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে হেয়প্রতিপন্ন করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। তিনি নগর উন্নয়নের পরিকল্পনা হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য জন্ম ও নাগরিক সনদে অগ্রাধিকার ও শিক্ষাবৃত্তি চালুসহ ১৩টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করেছেন। একমাত্র স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী মিসেস সালমা আনিকা বলেন, শত প্রতিকূলতার পরও নারী ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছি। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তিনিও প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা মাঠে স্বাভাবিকভাবে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছি না। জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার আশ্রাফুল আলম বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে কেন্দ্র কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।