× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরগুনা / বাবার ডামি প্রার্থী মেয়ে, স্বামীর ডামি স্ত্রী

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার

বরগুনা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন বাবা ও মেয়ে। আর ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বামী ও স্ত্রী। তবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে বাবার ডামি হিসেবে মেয়ে এবং স্বামীর ডামি হিসেবে স্ত্রী এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আগামী ৩০শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেনের পাশাপাশি প্রার্থী হয়েছেন তার মেয়ে মহসিনা মিতুল। শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। লড়ছেন জগ প্রতীক নিয়ে। তার মেয়ে মহসিনা মিতুল পেয়েছেন হেলমেট প্রতীক। অপরদিকে এ পৌরসভায় ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফারুক সিকদারের পাশাপাশি একই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার।
ফারুক শিকদার উট পাখি প্রতীকে সরব প্রচার চালাচ্ছেন। তবে ডালিম প্রতীক নিয়ে ঘরেই বসে আছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী। নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে শাহাদাতের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও বিপরীত দিকে তার মেয়ে মহসিনা মিতুল অনেকটা নীরব রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিল আর প্রতীক পাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তার নির্বাচনী কার্যক্রম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া, গণসংযোগ, মাইকিং করে নিজের পক্ষে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি পুরো পৌরসভাজুড়েই রয়েছে শাহাদাতের ব্যানার পোস্টার। কিন্তু প্রচার-প্রচারণায় নেই তার মেয়ে মিতুল। পৌরসভায় কোথাও দেখা যায়নি তার ব্যানার পোস্টার। প্রকাশ্যে সরব উপস্থিতি না থাকলেও তাকে নির্বাচন কেন্দ্রিক কথা বলতে দেখা যায় শুধু তার বাবার পক্ষেই। অন্যদিকে, একই অবস্থা কাউন্সিলর প্রার্থী ফারুক শিকদারের। উট পাখি প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় তার সরব উপস্থিতি থাকলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ডালিম প্রতীক নিয়ে ঘরেই বসে আছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরগুনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন এবং একই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ফারুক সিকদার। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নৌকাকে হারিয়ে দিতে শাহাদাত হোসেন নিজে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী করেছেন তার মেয়েকেও। বিএনপি’র প্রার্থী এডভোকেট হালিম বলেন, বাবা-মেয়ে একই সঙ্গে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে যদি কেউ ভোটকেন্দ্র বা ভোটগ্রহণে প্রভাব বিস্তার করতে চান, তাহলে এর যথাযথ জবাব দেবে আমার এজেন্ট, কর্মী ও সমর্থকরা। অন্যদিকে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি প্রার্থী হওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছ থেকে হুমকির শিকার হয়েছি। জীবননাশের শঙ্কায় ভুগছি। সে কারণেই মেয়েকে প্রার্থী করেছি। তার মেয়ে মহসিনা মিতুল বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি আমার বাবার জন্য। মেয়র পদে আমার পছন্দের প্রার্থী আমার বাবা। তাই আমি আমার ভোট আমার বাবাকেই দেবো। তাছাড়া নির্বাচনে আমি যেহেতু একজন প্রার্থী তাই কেন্দ্রে আমার বাবার পাশাপাশি আমার মনোনীত এজেন্টও থাকবে। পৌরশহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মমিনুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমার ওয়ার্ডে মাত্র তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী। আমি ছাড়া অন্য দু’জন হলেন ফারুক ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী। আমার ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে যেখানে আমি একজন করে এজেন্ট পাবো, সেখানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফারুক পাচ্ছেন দু’জন করে। তার ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন। অপরদিকে ফারুক শিকদার বলেন, আমার নামে মামলা আছে। এজন্য যদি আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারি, তাই আমার স্ত্রীকে প্রার্থী বানিয়েছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর