মৌলভীবাজার পৌরসভার নির্বাচন আগামী ৩০শে জানুয়ারি। প্রার্থীরা বিজয়ী হতে নিজ নিজ কৌশলে প্রচারণায় শেষ সময় পার করছেন। বিশেষত কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা মূলত নির্বাচনকে জমিয়ে তুলেছেন। নানা ঢংয়ে প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। এই প্রচার-প্রচারণার ভিড়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভিন্ন কারণে ভোটারদের আলোচনায় আছেন।
মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমান এবং বিএনপি’র প্রার্থী গত পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ওলিউর রহমান। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ২৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন। বিপুলসংখ্যক কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে এবার ১ ও ৪নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ভিন্ন রকম কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এরা হচ্ছেন পৌরসভার ১ ও ৪নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী এডভোকেট পার্থ সারথী পাল এবং সুমেষ দাস যীশু।
তারা দু’জনের কেউ স্নাতক আবার স্নাতক উত্তর। দু’জনই শহরের পরিচিত পরিবারের সন্তান। মূলত জনসেবার উদ্দেশ্যে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এডভোকেট পার্থ সারথী পাল গত পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু পাস করতে পারেননি। এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে এডভোকেট পার্থ সারথী পাল নিরন্তর জনসংযোগ করছেন। তিনি পড়ালেখা জীবনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন শেষে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করে মৌলভীবাজার জজ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। এবার তিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে তিনি শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংগঠনের জেলা কমিটি ও সৈয়ারপুর লক্ষ্মীবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি সাংস্কৃতিক চর্চার সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমির চলমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পার্থ সারথী পাল জানান, সমাজে সুশিক্ষার আলো ছড়িয়ে আধুনিক ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মানবিক সমাজ উন্নয়নের তাগিদে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সুমেষ দাস যীশু লেখাপড়া জীবনে স্নাতক উত্তীর্ণ। ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষে তিনি এখন মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। একই সঙ্গে তিনি পারিবারিক ঐতিহ্যে শহরের একজন সফল ব্যবসায়ী। সবার কাছে পরিচিত ম্যানেজার স্টল তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা যীশু সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। সাংস্কৃতিককর্মী, নাট্যাভিনেতা আ,স,ম সালেহ সুহেল কথা সৃজনশীল আগামীর নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রয়োজনে যীশুর মতো তারুণ্য প্রদীপ্ত মানুষকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা সময়ের দাবি। সুমেষ দাস যীশু জানান, ওয়ার্ডবাসীর ভালোবাসায় কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ভোটারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছি। বিজয়ী হলে মানুষের আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে ঐকান্তিকতার সঙ্গে ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষম হবো।