গ্রাম্য সালিশে সাক্ষী না দেয়াতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্র নজির আহমদ মোজাহিদকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় পুলিশ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দাখিল করেছে। তবে এ আসামিদের বাঁচাতে বড়ফৌদ গ্রামের মৃত শুকুর উল্লার ছেলে নুর উদ্দিন উল্টো নিজের ছেলে অপহরণ হয়েছে দাবি করে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর ওই মামলায় মোজাহিদ এখন কারাগারে। গতকাল সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মোজাহিদের বাবা সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজার বড়ফৌদ গ্রামের ফয়জুল হক। তিনি কথিত ওই অপহরণ মামলার উৎপত্তির বিষয়ে অবগত করতে এবং ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি অনুরোধও করেছেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘তার ছেলের দায়ের করা অপহরণ মামলার আসামিদের অর্থের লোভে পড়ে নুর উল্লাহ নিজের ছেলেকে আত্মগোপনে রেখে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু পরে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে নিজেই ফোন করে থানায় জানিয়েছেন, তার ছেলেকে পাওয়া গেছে। ছেলে নাকি তাকে ফোন করে জানিয়েছে, কে বা কারা তাকে রেখে গেছে।’ তিনি ওই মামলার বাদী নূর উদ্দিনকে একজন চতুর প্রকৃতির এবং টাকার বিনিময়ে মামলার বাদী হওয়া লোক বলে দাবি করেন। এর আগেও বিভিন্ন জনের হয়ে মামলা করে পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে আপসে মামলা তুলে নেয়ার রেকর্ড তার বিরুদ্ধে আছে বলেও উল্লেখ করেন।