× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হরিণাকুণ্ডুু পৌরসভা নির্বাচন / বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে আতঙ্কিত আওয়ামী লীগ কোণঠাসা বিএনপি

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার

ঘুম, নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুু পৌরসভার নির্বাচনের প্রার্থীদের। পাড়া-মহল্লা ছেয়ে গেছে পোস্টারে। মাইকিংয়ে মুখরিত পৌর এলাকা। প্রার্থী ও তাদের এজেন্টরা গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। পৌর এলাকার ৯টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অফিস ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কা ভর করছে ভোটারদের মাঝে।
ভোটাররা জানান, বিএনপি একক প্রার্থী দিতে পারলেও আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে একজন শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও অধিকাংশ ভোটারদের ধারণা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে টিপু মল্লিকই বিজয়ী হবেন। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে বিভেদ আর ফাটল ধরেছে বলে ভোটারদের অভিমত। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছে। ইতিমধ্যে দলের হাইকমান্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দার ও বর্তমান মেয়র রিন্টু, সহ-সভাপতি টানু মল্লিকসহ ৬ জনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে। বহিষ্কৃতদের ভাষ্য, তারা হরিণাকুণ্ডু পৌর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইলেও জেলা রাজনীতির বলি হয়েছেন তারা। যার প্রভাব পড়েছে ভোটারদের মধ্যে। তবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। হরিণাকুণ্ডু পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ফারুক হোসেন, ধানের শীষের জিন্নাতুল হক (বিএনপি), ইসলামী আন্দোলনের নাসির উদ্দীন হাত পাখা প্রতীক নিয়ে ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফারুক হোসেন জানান, তৃণমূলে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। ভোটাররাও নৌকার প্রতি আস্থা জানাচ্ছেন। ফলে জয় নিয়ে আমি আশাবাদী। বিএনপি প্রার্থী জিন্নাতুল হক জানান, এটা হচ্ছে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তাই জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবছি না। তবে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারলে ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মল্লিক পরিবারের সন্তান সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক জানান, নৌকার প্রার্থী ফারুখ হোসেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার কর্মী ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মারধর ও হুমকি দিচ্ছে। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় সেজন্য তাদের প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনে প্রভাব ও পেশী শক্তি খাটিয়ে রাতের আঁধারে ভোট কেটে না নিলে আমি হাজার হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর