× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্যাম্পাসে না এসেই সহকারী প্রভোস্ট

শিক্ষাঙ্গন

বেরোবি প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২৭, ২০২১, বুধবার, ৯:০২ অপরাহ্ন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রভাষক জহির উদ্দিন। যোগদানের কয়েকদিন হয়েছে মাত্র এর মধ্যেই পেয়ে গেছেন শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব। ক্যাম্পাসে না এসেই অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষকদের উপেক্ষা করে প্রশিক্ষণরত নবীন অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের হলের দায়িত্ব দেয়ায় ক্যাম্পাসে চলছে তীব্র সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১১ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান জহির উদ্দিন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে কখনো ক্যাম্পাসে না এসেই ঢাকায় অংশ নিচ্ছেন ৬ মাস মেয়াদি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে। কিন্তু পাঠদানে অংশ না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে গত ২৬শে জানুয়ারি জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক জহির উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয় শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘যে শিক্ষক যোগদানের পর থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসে এখনো আসেননি। তাকে কীভাবে হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়।
হলগুলোর কি তাহলে ঢাকায় কোনো শাখা রয়েছে?’
এদিকে একই দিন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক প্রভাষক লুবনা আক্তারকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট ও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক প্রভাষক আব্দুল মুঞ্জেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা উভয়ই যোগদান করেন ২০১৯ সালের ২রা ডিসেম্বর। এরপর ৬ মাস ছিলেন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায়। সে হিসেবে ২০২০ সালের মে/জুন তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষ হয়। এরই মধ্যে করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ ক্যাম্পাসে সিনিয়র শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও অনভিজ্ঞ নবীন শিক্ষকদের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জানান, ‘অবিবেচনাপ্রসূত দায়িত্ব প্রদান উপাচার্যের চরম উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ। লিয়াজোঁ অফিসের নামে তিনি নিজেই দিনের পর দিন ঢাকায় থাকেন। তাই ঢাকায় থেকেই তিনি সব করতে চান।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ‘বেরোবির হল সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই। ক্যাম্পাসে না এসেই দায়িত্ব দেয়াটা প্রশাসনের চরম উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ।’
এভাবে হলের প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয় ডিনা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর