× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজনগর হিসাবরক্ষণ অফিস / ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না

বাংলারজমিন

রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার

রাজনগর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম তাহমির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষকসহ পেনশনভোগীরা। নগদ টাকা ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইলই তিনি ছাড় দেন না। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পেনশনের টাকা উত্তোলনেও তাকে দিতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় সরকারি কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে দিনদিন বাড়ছে ভুক্তভোগীর সংখ্যা। দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এতে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও রয়েছে।

লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিমের রাজনগর পোস্টিং হয়েছে মাস চারেক আগে।
এ সময়েই তিনি আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন সরকারি অফিস ও পেনশনভোগীদের। বিভিন্ন অজুহাতে আটকে দিচ্ছেন ফাইল। টাকা নেয়ার জন্য ব্যাংকেই বসে থাকে তার লোক। মুজিব বর্ষের গৃহনির্মাণের টাকা ছাড় নিতেও দুর্ভোগ পোহাতে হয় সংশ্লিষ্টদের। এতে সরকারি বিভিন্ন কাজ ব্যাহত হয়। এনিয়ে গত ২১শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী, কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সরকারের নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প ব্যাহত হচ্ছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৭ই নভেম্বর সিলেট ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস বরাবর চিঠি পাঠান। চিঠিতে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম তাহমির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের ও অন্যদের অভিযোগ থাকায় যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান। এজন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ওই পত্রের আলোকে গত ২৪শে নভেম্বর সিলেট কার্যালয়ের নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (প্রশা) নূরুল হক তদন্ত করতে রাজনগর আসেন। তদন্তকালে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা লিখিত বক্তব্য দেন। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিকে উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তার বেতন বুকে কাজ করে দেয়ার জন্য ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। টাকা দেয়ার পরও তিনি কাজ করতে অনীহা দেখান।  

অপরদিকে উপজেলার গড়গাঁও গ্রামের সাবেক কারারক্ষীর আবদুল আহাদের পেনশনের কাজ অনলাইনে করে দেয়ার জন্য তার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ২৫ হাজার টাকা নিয়ে কাজ করলেও এখন ৫ হাজার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এনিয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ আবদুল হাকিম তাহমি বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তার কাছে জানতে পারবেন বলেই ফোন রেখে দেন। পরে আবারো ফোন করা হলে তিনি মৌলভীবাজারে মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তির মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায়ও এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। তদন্ত হলেও এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কেও বিষয়টি অবগত করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর