চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে এক কেন্দ্রে মাত্র এক ভোট পেয়েছেন। আর নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর পেয়েছেন ২১৫ ভোট।
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত কাজীর দেউড়ি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গণনার চিত্র থেকে এ তথ্য মিলেছে। কেন্দ্রটির ভোটার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯১৩। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ২১৮ জন। অর্থাৎ অনুপস্থিত থাকেন এক হাজার ৬৯৫ ভোটার। ভোট আদায়ের হার ১১ শতাংশ।
ভোট গণনার হিসাবে দেখা যায়, এ কেন্দ্রে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে ২১৫টি। কিন্তু ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পড়েছে মাত্র একটি। পাশাপাশি হাতপাখা প্রতীকে মো. জান্নাতুল ইসলাম ও আম প্রতীকে আবুল মনজুরও পেয়েছেন একটি করে ভোট।
আর চেয়ার প্রতীকে মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী এবং মোমবাতি প্রতীকের এম এ মতিন কোন ভোটই পাননি।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, এক কেন্দ্রে এক ভোট, এটা ভোট ডাকাতির প্রকৃষ্ট উদাহারণ। ভোটের শুরু থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অনুসারীরা নগরীর সবকটি ভোটকেন্দ্র দখলে নেয়। কাজীর দেউড়ি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটিও দখল করে। বিএনপির ভোটাররা কেউ সেখানে যেতে পারেনি। আমার এক ভোটও কৌতুহলবশত তারাই দিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. জান্নাতুুল ইসলামও ভোটে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৭শে জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
ফলাফলে মেয়র পদে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এম রেজাউল করিমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
ঘোষিত ফলাফলে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ভোট গণনা করা হয়। সহিংসতার কারনে দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়।