পশ্চিম বাংলায় বিধানসভা ভোটের মুখে একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে তোলাবাজ ভাইপো ইস্যু। ইনি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ভাইপো ডায়মন্ডহারবার এর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা বোঝার জন্যে আলাদা মস্তিষ্কের দরকার হয় না। এবার ভোটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বড় ইস্যু। তাই এসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম এবং ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সম্পত্তির পরিমান নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে এসেছে মানবজমিনের।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিষেক যে হলফনামা দিয়েছিলেন ২০১৯ সালের হলফনামায় তার আয় ২০৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর মোট সম্পদের পরিমান ছিল ৯৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যদিও ২০১৪ সালের তুলনায় উনিশে সম্পত্তি বাড়লেও অভিষেকের সম্পদ কমেছে ৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে অভিষেকের হাতে নগদ ৯২ হাজার টাকা ছিল, স্ত্রী রুজিরা নারুলার হাতে ছিল নগদ ৮৭ হাজার ৩০০ টাকা। ব্যাংকে অভিষেকের নামে জমা আছে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৫ টাকা ৩০ পয়সা, স্ত্রী রুজিরা নারুলার নামে ১২ লাখ ৬৮ হাজার ১৫ পয়সা। স্থাবর কোনো সম্পত্তি অথবা গাড়ি অভিষেকের নেই। অভিষেকের ৩০ গ্রাম সোনা ও ৪০ গ্রাম রুপা আছে। স্ত্রী রুজিরার সোনার পরিমান ৬৫৮ গ্রাম, রুপ আছে ২ কিলো ৩০০ গ্রাম। রত্ন ২২ লাখ টাকার। এই হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ঘোষিত সম্পত্তি।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, এর বাইরেও কয়লা চুরি, বালি চুরি, গরু পাচারের টাকা জমা পড়েছে বিদেশের ব্যাংকে। ২০২১ সালের নির্বাচনেই বোধহয় শেষ উত্তরটি মিলবে।।