পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এবং পুরুলিয়ার বাগানবাড়ি গ্রামে এখন চলছে অরন্ধনের পালা। উত্তরাখণ্ডের ঋষিগঙ্গা হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টে শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া কাঁথির সুদীপ গড়াই এবং বুলু জানা, লালু জানা এবং পুরুলিয়ার বাগানবাড়ি গ্রামের অশ্বিনী তানবে ও শুভঙ্কর তানবের। সবারই বয়েস তিরিশের নিচে। রোববার দুপুরে উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসের পর এই ৫ বাঙালি শ্রমিকের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। সুদীপের দাদা বৈদ্যনাথ ডুকরে কেঁদে উঠে বলল, ভাইটা শনিবার ফোন করেছিল, চারদিন বাদে বাড়ি ফিরবে। লকডাউনে আটকে পড়েছিল। আসতে পারেনি। কোথায় কি, কেউ খোঁজ দিতে পারছে না। ভাইয়ের মোবাইল ফোন এ বারবার ফোন করা হচ্ছে। বিপ বিপ আওয়াজ ছাড়া আর কিছু নেই। ওর এক সহকর্মী জানিয়েছে, হটাৎ টানেলে ঢোকা জলের তোড়ে ও নাকি ভেসে গেছে... কেঁদে উঠলো বৈদ্যনাথ।
বুলু জানা ও লালু জানা দুই ভাই। ওদের পরিবারও দুই যুবকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্তব্ধ। পুরুলিয়ার বাগানবাড়ি গ্রামের অশ্বিনী ও শুভঙ্কর তানবে একই পরিবারের ছেলে। গোটা পরিবারটিই ওদের উপার্জনে চলত। পরিবার বলছে, উপার্জন চাই না। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। উত্তরাখন্ড প্রশাসন কোনো খবর দেয়ার অবস্থায় নেই। জেলাশাসকের শুধু জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ চলছে। বাঙালি শ্রমিকদের খবর পেলেই জানানো হবে। কি খবর আসে সেই প্রতীক্ষায় এখন দুই জেলার দুই গ্রাম।