হারিয়ে যাওয়া বাম আন্দোলন আবার পথে। নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের লাঠির ঘায়ে মৃত বাঁকুড়ার কোতুলপুরের সিপিএম যুব ইউনিটের সম্পাদক মঈদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর পর বামেদের প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছে পথে। সোমবার বিকেলে চিত্তরঞ্জন এভিনিউ ও গনেশ চন্দ্র এভিনিউ এর সংযোগস্থলে পথ অবরোধ করা হয়। মঙ্গলবার, সরস্বতী পুজোর দিনে বামরা পুলিশ এর নৃশংসতার প্রতিবাদে রাজ্যের সব থানা ঘেরাও করবে। সোমবার এক পুলিশ কর্মীকে মারধরের ঘটনাও ঘটে। এস এফ আই এর বাম কর্মীরাই এই অফিসারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যান। সিপিএম নেড়া ডা. ফুয়াদ হালিম অভিযোগ করেছেন, পুলিশের মারে মঈদুল এর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় এর পুলিশ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্যে দায়ী। অপরাধীকে চিহ্নিত করে খুনির প্রাপ্য সাজা দিতে হবে।
মহাকরণে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিহত মঈদুল এর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বলেন, দেখতে হবে মৃত্যু পুলিশের মারের কারণে নাকি কিডনির পুরোনো কোনো অসুখের ফলে। বামরা মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে। তাদের বক্তব্য, পুলিশ মন্ত্রী পুলিশের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছেন।