ঘুমন্ত অবস্থায় মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের ওপর বাস শ্রমিকদের হামলার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ ঘটিকা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে ফের দ্রুত বিচারের আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৭টা থেকে টানা ১০ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর বিকাল ৫ ঘটিকায় শিক্ষার্থীদেরকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেন। এরপর থেকেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে বড় ফেসবুক গ্রুপ 'লিংকার্স ইন বরিশাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয় আন্দোলন নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ। ফলে রাতেই আবারো আন্দোলন কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান তমাল।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এছাড়া সুষ্ঠু বিচার দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞাপ্তি দিয়েছেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও ছাত্র মৈত্রীসহ সারাদেশের বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠন।
ফের আন্দোলনের বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, ৭ দিন নাকি ৪৮ ঘণ্টা এই নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কনফিশনের সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশ্বস্ত করলে তারা বিক্ষোভ থেকে সরে আসে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন কর্ণকাঠী এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন।পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে আজ বিকাল সাড়ে ৫ টায় অবস্থান কর্মসূচি ও মশাল মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে।।