× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যে ৭ লক্ষণে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা যেতে পারে

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান তিনটি লক্ষণ হলো প্রচ- কাশি, জ্বর ও স্বাদ-ঘ্রাণ হারিয়ে ফেলা। এসব লক্ষণ দেখা দিলেই সাধারণত মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট বা রূপান্তরের ফলে আক্রান্ত হওয়ার আরো লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এমন আরো চারটি লক্ষণ তারা শনাক্ত করেছেন। এগুলো হলো ক্লান্তি বোধ করা, গলাব্যথা বা স্বরভঙ্গ, মাথাব্যথা এবং ডায়রিয়া। ফলে প্রধান তিন লক্ষণ বাদেও এই চারটি লক্ষণ মিলে এখন করোনার লক্ষণ দাঁড়িয়েছে ৭টি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে তারা করোনা পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আইটিভি।
নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জোই কোভিড সিম্পটম স্টাডি অ্যাপ ব্যবহার করে তারা বৃটেনের এক লাখ ২২ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর গবেষণা করেছেন। পরে গবেষণালব্ধ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব ইনফেকশনে। জোই অ্যাপের প্রধান বিজ্ঞানী ও কিংস কলেজ লন্ডনের (কেসিএল) জেনেটিক মহামারি বিষয়ক প্রফেসর টিম স্পেকটর বলেছেন, শুরুতে আমরা জেনেছি যে, খুব কাশি, জ্বর এবং স্বাদ-গন্ধ হারানো হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রধান লক্ষণ। স্বাদ-গন্ধ হারানোর লক্ষণ আমরা শনাক্ত করেছি মে মাসে। আমরা যে গবেষণা করেছি, তা সরকারের বিদ্যমান লক্ষণের সঙ্গে আরো কিছু যোগ করবে। আমাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারই নতুন লক্ষণ দেখা গেছে, তিনি পরীক্ষা করিয়েছেন, তাতে আমরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আরো লক্ষণ শনাক্ত করতে পেরেছি। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ জন্য ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই জনগণের কাছে আমাদের পরিষ্কার বার্তা, যদি আপনি নতুন করে অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে এটা হতে পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। আপনার উচিত পরীক্ষা করানো। এই গবেষণায় কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন (সেপি)-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেন কেসিএলের বিজ্ঞানীরা। তারা এক লাখ ২২ হাজার মানুষের ডাটা বিশ্লেষণ করেছেন।
 তাতে প্রথম অসুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজেটিভ ধরা পড়েছে ১২০২ জনের। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ভালো ফল দেবে। এর মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ টিকার কার্যকারিতা নির্ধারণ করা যাবে। সেপির ক্লিনিক্যাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান ডা. জ্যাকব ক্রামার বলেছেন, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার যথার্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর