× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নোয়াখালীতে কাদের মির্জার শাস্তি চেয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার

এমপি, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাকরি নিয়োগ বাণিজ্য ও মিথ্যা বক্তব্য দেয়ায় কাদের মির্জার শাস্তি চেয়ে আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপিসহ তাদের স্ত্রী ও পুত্র সাবাব চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। গতকাল সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সদর উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং জেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অতি সম্প্রতি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপিসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও অশোভনীয় বক্তব্য দিয়ে আসছেন। কাদের মির্জার বক্তব্য দেখলে মনে হয়, তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে নয় বরং তিনি বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থিত কতিপয় রাজনৈতিক দলের ভোটে। পিন্টু বলেন, কাদের মির্জা মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে কখনো আওয়ামী লীগ বা দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরই তিনি আমাদের নেতা নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, তার পরিবারের সদস্যসহ জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও অশোভনীয় বক্তব্য দিয়ে আসছেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বলেন, দলের শ্রদ্ধাভাজন নেতাদের সম্পর্কে স্বয়ং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো কখনো যা বলতে সাহস করেনি, অথচ কাদের মির্জা, ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের সদস্য হয়ে বিরোধী দলের মুখপাত্রের ন্যায় বলে বেড়াচ্ছেন, যা অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনাদায়ক।
তিনি পাগলের মতো এত কিছু বলার পেছনে কোনো স্বার্থ লুকিয়ে আছে কি না, তা দৃষ্টির অগোচরে।কাদের মির্জা সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন, যা দলের গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তিনি ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ড ও জেলা আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল পর্যায়ের মতামত উপেক্ষা করে নিজেই কোম্পানীগঞ্জের আটটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন কোন ক্ষমতা বলে? এসব অবৈধ, এসব কি অপরাজনীতি নয়? অবিলম্বে আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনানসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর