নেত্রকোনা জেলার শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত কেন্দুয়া উপজেলা। এখানে ধানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয়। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই অঞ্চলের কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য আনা সম্ভব। কিন্তু জনবল সংকটে ভুগছে কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ। যার কারণে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কৃষি অফিসে কৃষক কার্ড থেকে শুরু করে সার, বীজ, কৃষি উপকরণসহ বিবিধ মালামাল কৃষকের মাঝে বিতরণের সময় হিমশিম খেতে হয় প্রতিনিয়ত।
১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলায় ৬৪ হাজার ১শ’ কৃষক পরিবার রয়েছে। এই উপজেলায় আবাদি জমি রয়েছে ৪৮ হাজার ৮৫০শ’ হেক্টর।
এসব ভূমি ব্যবস্থাপনা, বীজ, সার কীটনাশক, ফসলের রোগ-বালাই, পোকা-মাকড় নিধনসহ উন্নত ফলনশীল জাতের উৎপাদনে কৃষকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। কিন্তু চরম জনবল সংকটে এ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটির সুফল ভোগ করতে পারছে না উপজেলার কৃষক পরিবারগুলো। ফলে ফসল উৎপাদনে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কৃষক। জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অফিসের ৫৬টি পদের মধ্যে ২৪টি পদ শূন্য রয়েছে। ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়েই চলছে কৃষি বিভাগের কার্যক্রম। এখানে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ১ জন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ১ জন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ১ জন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ১৭ জন, উচ্চমান সহকারী সহ হিসাব রক্ষক ১ জন, উদ্ভিদ সংরক্ষণ মোকাদ্দম ২ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১ জনের পদ শূন্য রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা বাচ্চু বলেন, এই ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ ৩টির মধ্যে ২টি শূন্য রয়েছে। কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় শুক্র-শনিবার ছুটির দিন হলেও সকাল-সন্ধ্যা কৃষকের সঙ্গে কাজ করতে হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ.কে.এম. শাহজাহান কবির বলেন, অনেকগুলো পদ শূন্য থাকায় মাঠ কার্যক্রমসহ অন্যান্য কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবাইকে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।॥