ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে করোনার ভ্যাকসিন পেতে অন্যদেশগুলোকে ধৈর্য ধরতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে রোববার ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলোর প্রতি এই অনুরোধ জানানো হয়। সিরাম বলেছে, করোনার টিকার ক্ষেত্রে ভারতের প্রয়োজনীয়তার দিকটিকে অগ্রাধিকার দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ এই টিকা নিচ্ছে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা এক টুইটে বলেন, দয়া করে ধৈর্য ধারণের জন্য আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করি। ভারতের বিপুল প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাকি বিশ্বের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে বলা হয়েছে।
আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় পুনে শহরে অবস্থিত। তারা অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করছে। জাতীয় পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতে প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে এই টিকা। তাদের উৎপাদিত টিকার নাম দেয়া হয়েছে কোভিশিল্ড। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ব্রাজিল পর্যন্ত বহু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই টিকার ওপর। কিন্তু কানাডার মতো পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী মাসে কানাডাকে টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আদর পুনাওয়ালা। এসআইআইতে কীভাবে টিকা প্রস্তুত করা হয় তা অডিট করছে বৃটেনের ওষুধ নিয়ন্ত্রকরা। এর ফলে কোভিশিল্ড পথ করে নিতে পারে বৃটেন এবং অন্যান্য দেশে। রয়টার্স লিখেছে, করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বেশ সমালোচনা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ সামনের সপ্তাহগুলোতে পর্যাপ্ত আকারে টিকা দেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মধ্য জানুয়ারি থেকে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে এই টিকা দিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক কোটি ৯ লাখ মানুষ। এর ফলে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র।