আসছে ২৪শে মে খুলছে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়। আর আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে ১৭ই মে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী নতুন এই ঘোষণা দেন। যদিও এ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের তরফে বিক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া এসেছে। তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৭ই মে’র আগে কোনো শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করতে পারবে না। আর ২৪শে মে’র আগে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিতে পারবে না। ইতিমধ্যে কোনো শিক্ষার্থী যদি হলে অবস্থান করেন তবে অবিলম্বে হল ত্যাগ করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে কোনো অনৈতিক কাজে যোগ দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দায়-দায়িত্ব নেবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্রয়োজনে হলের অবকাঠামো সংস্কার করবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমরা ভ্যাকসিন না দিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে অনিরাপদ অবস্থায় সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দেশে রেজিস্ট্রেশন করে এই সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে পারবো। সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন দিতে কিছুটা সময় লাগবে। অন্তত তারা প্রথম ডোজ নিয়ে হলে উঠবেন। যিনি হলে থাকবেন তাকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়েই হলে উঠতে হবে। তবে, কোনো শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভ্যাকসিন নিতে না পারলে তিনি হলে উঠতে পারবেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৫ হাজার ৫২৪ জন শিক্ষককেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
বিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিসিএস’র আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি করা হবে। তাছাড়া করোনার কারণে বিসিএস’র জন্য আবেদনের বয়সসীমা অতিক্রান্ত হয়ে কোন শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলেও স্কুল-কলেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে কবে থেকে স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরু হবে তা জানিয়ে দেয়া হবে।
এই বৈঠকে আরো যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৭ই মার্চ থেকে চলমান এই ছুটি কয়েক ধাপে বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে কওমি মাদ্রাসা চালু রয়েছে। সেইসঙ্গে স্বল্প পরিসরে চলছে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন পরীক্ষা।