আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভৈরব পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের হাজী মো. শাহীন এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন বেনু মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৪৫ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ জন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ আর পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সেই সঙ্গে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সাধারণ ভোটারদের মতে, আওয়ামী লীগের সঠিক সিদ্ধান্ত এবং যোগ্য প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক দেয়ায় খুশি দলের সাধারণ কর্মীরা।
দলের এ সিদ্ধান্ত মেনে সর্বস্তরের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে কাজ করছেন। ফলে নৌকার পালে বিজয়ের হাওয়া বইছে বলে মনে করেন দলীয় কর্মীরা। অন্যদিকে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. শাহিনের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীসহ তার সমর্থকরাও পাশে রয়েছেন। তবে তাদের রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। এ ছাড়াও নির্বাচনের মাঠে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভৈরব
চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি এক সময় উপজেলা যুব লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফলে তিনি দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনও করে ছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হাতেগোনা কয়েকজন নেতাকর্মী পাশে থাকলেও দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা তার পাশে নেই। যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের দাবি তার পাশে রয়েছে পৌরবাসী। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাজী মো. শাহিন বলছেন, প্রথম দিকে কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলেও গত সোমবার থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ফলে তিনি ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে গিয়ে তার কর্মী সমর্থকরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন কিনা শঙ্কায় রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনে সর্বমোট ৭৯ হাজার ৭১৩ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪০৬ জন। আর নারী ভোটারের সংখ্যা ৪০ হাজার ৩০৭ জন। এরইমধ্যে শহরের ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে হাবিবুল্লাহ নিয়াজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সর্বমোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।