আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী বন্দোবস্তকৃত জায়গা অবৈধভাবে দখল করে শেড নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে অপর একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় অবস্থিত আল মোস্তফা গ্রুপের ওই জমিতে গত কয়েকদিন ধরে অবৈধভাবে শেড নির্মাণ করছে আনন্দ শিপ ইয়ার্ড।
আল মোস্তফা গ্রুপের পরিচালক জাফর ইকবাল জানান, আল মোস্তফা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হেরিটেজ পলিমার অ্যান্ড ল্যামি টিউবস লিমিটেড ২০১৭ সালের ৪ঠা এপ্রিল সাফ কবলা দলিল নং ৪৬৮৫ এবং একই বছরের ১৮ই জুলাই সাফ কবলা দলিল নং ৯০৮৯, আরএস ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত, ৯৯ বছরের জন্য সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত মূলে মালিকানা লাভ করেন। কোম্পানিটি আরএস  নামজারি ও জমাভাগ সম্পন্ন করে ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী আনন্দ শিপ ইয়ার্ডের মালিক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ হেল বাকী বিভিন্ন সময় জমিটি দখলের চেষ্টা করে আসছেন। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি  আদালতের নজরে আনলে চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি আদালত আমাদের স্থায়ী বন্দোবস্তকৃত ওই জমির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতে আনন্দ শিপ ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ ভূমির জাল কাগজপত্র উপস্থাপন করে আপিল করে। আদালত সেদিনই শুনানি করে স্থিতাবস্থা এ মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ই মে পর্যন্ত স্থগিত করেন। এর পরই আদালতের এ স্থিতাবস্থার সুযোগে আনন্দ শিপ ইয়ার্ডের মালিক তার লোকজন নিয়ে রাতারাতি শত শত নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে পাকা স্থাপনা তৈরি করে জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করে নেয়ার চেষ্টা করছে। বন্দোবস্ত প্রাপ্ত  সম্পত্তি এবং চর রমজান সোনাউলা মৌজায় আরএস ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত, আরএস দাগ-৪২৪৪,৩৪২৫/৩৬১৩নং দাগে মোট ১৮৬ শতাংশ সরকারি জমি বালু দ্বারা ভরাট করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করছে। তিনি আরো জানান, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার আনন্দ শিপ ইয়ার্ডের বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে আটক করে নিয়ে এলেও অজ্ঞাত করণে কিছুক্ষণ পরই ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে আনন্দ শিপ ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) দুলাল মিয়া দাবি করেছেন, আমরা আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর শেড নির্মাণ করছি। কারো জায়গা জবরদখল করছি না।