× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘আমার স্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুললে মেনে নেবো না’

প্রথম পাতা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার

একসময়ের তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ঝড়। বুধবার তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তামিমার আগের স্বামী রাকিব। অন্যদিকে রাজধানীর বনানীতে সংবাদ সম্মেলন করেন নাসির হোসেন। সেখানে নাসির বলেন, ‘এতদিন ও শুধু তামিমা ছিল, আজ থেকে তামিমা হোসেন। আমি চাইবো না কেউ কোনোভাবে ওর বিরুদ্ধে কিছু বলুক। যারাই যেখান থেকে কিছু বলবে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’ তামিমা তাম্মি বলেন, দেশের সকল আইন মেনেই তিনি নাসিরকে বিয়ে করেছে। বিয়ে করে তিনি কোনো অন্যায় করেননি।
ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন।
রাকিবের এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তামিমা তাম্মি বলেন, ‘আমি তালাকের জন্য ২০১৬ সালে আবেদন করি। পরের বছর সেটা গ্রহণ হয়। সব আইন মেনে ডিভোর্স হয়। পরিবার ও তিনি (রাকিব) সবাই এটা সম্পর্কে জানতেন। উনি যেটা করছেন, কেন করছেন, সেটা আপনাদের সবারই বোঝা হয়ে গেছে। উনি যত কথা বলেছেন, শুধু দুইটা জিনিস, আমাদের বিয়ে হয়েছে আর বাচ্চা আছে ছাড়া সবই মিথ্যা।’ তাম্মি বলেন, ‘২০১৯ সালের শুরুর দিকে নাসির আমার সঙ্গে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়। তখন এই ছবি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। তখনই নাসির আমাকে বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। তাহলে হুট করে কিভাবে আমরা বিয়ে করলাম। তাছাড়া আমরা ঘটা করে সবাইকে দাওয়াত দিয়ে বিয়ে করেছি। গোপনে তো কিছু করিনি। আমার মনে হয় সামাজিকভাবে আমাদের ছোট করতে এবং নিজেকে হাইলাইট করতেই রাকিব এইসব নোংরামি করছে।’ মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তাম্মি বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে আমার সব সময় যোগাযোগ ছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেয়ে আমার সঙ্গেই ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে রাকিব কাউকে কিছু না জানিয়ে মেয়েকে নিয়ে যায়। তখন আমি ফ্লাইটে ছিলাম। মা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে থানায় জিডি করে। আমি দেশের বাইরে থাকায় তখন আইনি ব্যবস্থা নিতে পারিনি। দেশে ফিরে প্রতিটি মুহূর্তে আমি ভিডিও কলে আমার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।’ সংবাদ সম্মেলনে নাসির বলেন, ‘তামিমা তাম্মি এখন আমার স্ত্রী। সে এখন তামিমা হোসেন। তাকে কিছু বলা মানে আমাকে বলা। আমি জাতীয় দলের ক্রিকেটার। অনেকে আমাকে পছন্দ করেন, অনেকে পছন্দ করেন না। তাদের নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তারা আমাকে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন। কিন্তু আমার স্ত্রীকে নিয়ে কোনো কিছু বললে আমি মেনে নেবো না। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’ নাসিরের আইনজীবী তামিমার আগের স্বামী রাকিবের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার কথা বলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর