× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইব্রাহিম খালেদ আর নেই

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার

চলে গেলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সমাজের বিশিষ্টজনরাও শোক প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা-সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
পরিবার সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হলেও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
গত ২১শে ফেব্রুয়ারি অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কচিকাঁচার মেলার পরিচালক ছিলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা ভবনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুই জানাজায় সংস্কৃতি অঙ্গন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। এরপর বাদ এশা তৃতীয় জানাজা শেষে গোপালগঞ্জে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভূগোলে স্নাতকোত্তর করার পর তিনি আইবিএ থেকে এমবিএ করেন। ১৯৬৩ সালে যোগ দেন ব্যাংকিং পেশায়। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পতনের কারণ অনুসন্ধানে সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অনিয়মের বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে বিভিন্ন সময়ে তিনি আলোচনায় এসেছেন। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
জানাজায় অংশ নেয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, ইব্রাহিম খালেদ ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন নির্মোহ ও সত্যবচনে আপসহীন। অন্যায়ের সমালোচনা করতে কখনো দল ও ব্যক্তির বিবেচনা করতেন না, যা তাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। ইব্রাহিম খালেদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, ধীরস্থির, দৃঢ়ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক মরহুম খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আর্থিক খাতের সংস্কার ও উন্নয়ন সাধনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর