× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পক্ষ-বিপক্ষে সংঘর্ষ, সেনাবাহিনীর জন্য ফেসবুক নিষিদ্ধ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:৪৮ অপরাহ্ন

অভ্যুত্থানের বিরোধী এবং পক্ষ অবলম্বনকারীদের মধ্যে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে নিরপেক্ষ কোনো তথ্য মেলেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। এ সময় গণতন্ত্রের পক্ষের নেতাকর্মীদের প্রতি অভ্যুত্থানের পক্ষের ব্যক্তিদের ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। সকালেই মধ্য ইয়াঙ্গুনে প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের ক্যাম্পাস থেকে বের হতে দেয়নি পুলিশ। ক্যাম্পাসের গেট ব্লক করে রেখেছে তারা।
ফলে ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে বের হতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। এর ফলে উত্তেজনা আরো চরম আকার ধারণ করেছে। দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, এই নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি উত্তেজনায় ফুটছে। গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুচি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এই বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে ইয়াঙ্গুন, ন্যাপিডসহ বড় বড় শহর। তবে আজ বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের যোগ দেয়া আটকে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থী কাউং সাত ওয়াই (২৫)। তিনি বলেন, এই স্বৈরাচারকে টেনে নামাতে হবে আমাদের মতো ছাত্রদেরকেই। অভ্যুত্থানের পর থেকে আমাদের জীবন আশাহীন হয়ে পড়েছে। আমাদের স্বপ্নরা মরে গেছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে আটকা পড়েছেন বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে মধ্য ইয়াঙ্গুনে অভ্যুত্থানের পক্ষে র‌্যালি বের করে প্রায় ১০০০ মানুষ। তাদের অনেকে ফটোগ্রাফার, ও মিডিয়াকর্মীদের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি শুরু হয়। ওদিকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ‘১লা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে ভয়াবহ সহিংসতার পর ফেসবুক বন্ধ করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি, মিয়ানমারে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম চালু রাখলে তা ব্যবহার করে সেনাবাহিনী ঝুঁকি বাড়াবে। দেশটিতে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সেনাবাহিনীর উস্কানিতে ভবিষ্যত সহিংসতার পরিষ্কার ঝুঁকি থাকার কারণে দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর