× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেই দুই ভাইয়ের ৫৭০৬ বিঘা জমি জব্দের নির্দেশ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

বহুল আলোচিত ফরিদপুরের দুই ভাইয়ের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি ও তাদের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে থাকা সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল এই তথ্য তিনি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, অর্থ পাচার মামলায় সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ পাঁচজনের ৮৮টি ব্যাংক হিসাব, একই সঙ্গে তাদের ১৮৮টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং তাদের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডি’র পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬শে জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তারা।
এসি, নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্প ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, প্রথম জীবনে এই দুই ভাই রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে এক বিএনপি নেতার ফাই-ফরমায়েশ খাটতেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না।
এজাহারে আরো বলা হয়, গত বছরের ১৮ই জুন এস এম মিরাজ এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই দুই ভাই অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর