ম্যাচের ২৪ সেকেন্ডেই গোল পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। পরে নষ্ট করলো ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ। আর শেষ পর্যন্ত রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়লো তারা। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। মাহমুদ হোসেন ফাহিম মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে এগিয়ে নেয়ার পর রহমতগঞ্জকে সমতায় ফেরান আরাফাত হোসেন। ১০ ম্যাচে দুই দলের সংগ্রহ সমান ৯ পয়েন্ট। গোল পার্থক্যে রহমতগঞ্জ তালিকার নবম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দশম স্থানে রয়েছে।
এদিন খেলা শুরু হতে না হতেই এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। জাপানি মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতোর থ্রু পাস ধরে দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফাহিম।
২৬তম মিনিটে লক্ষ্যভ্রেষ্ট হেডে সমতার সুযোগ নষ্ট করেন রহমতগঞ্জের ক্রিস রেমি। চার মিনিট পর রোহিত সরকারের ক্রসে ভালো জায়গায় থেকেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি মেহেদী হাসান রয়েল; ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদও। রহমতগঞ্জের রক্ষণে চাপ ধরে রাখলেও গোল পাচ্ছিল না আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ড্র করা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ৪৪তম মিনিটে কাতোর ফ্রি কিক প্রথম চেষ্টায় ফেরানোর পর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গ্লাভসে নেন রাসেল মাহমুদ লিটন।
গুছিয়ে ওঠা রহমতগঞ্জ ঘুরে দাঁড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৬তম মিনিটে মিশরের ডিফেন্ডার আলাদিন নাসেরের কাট ব্যাকে আরাফাতের প্লেসিং শট চোখের পলকে জালে জড়ালে সমতায় ফিরে দলটি। পাঁচ মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট হয় আগের দুই ম্যাচ হেরে আসা রহমতগঞ্জের। শাহেদুল আলমের পাসে রেমির ব্যাক হিলে বল পেয়ে যান ডি-বক্সের ডান দিকে ফাঁকায় থাকা সাব্বির আহমেদ। দিলশদ ভাসিয়েভের বদলি নামা এই ফরোয়ার্ড হতাশ করেন ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে।