× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টালমাটাল সংগীতাঙ্গন

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার

গত বছর করোনায় সংগীতাঙ্গনের অবস্থা একদমই ভালো ছিল না। মার্চ থেকেই টানা কয়েক মাস স্টেজ শো ছিল বন্ধ। এখনো স্টেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে এই সময়ে গানও প্রকাশ পেয়েছে খুব কম। করোনার কারণে নতুন গান প্রকাশে তেমন একটা সাহস পাননি প্রযোজকরা। অন্যদিকে ধারণা করা হচ্ছিলো চলতি বছরের শুরুতে অবস্থার পরিবর্তন কিছুটা হলেও হবে। কিন্তু না, সেটা হয়নি। বরঞ্চ স্থবির অবস্থাই বিরাজ করছে সংগীতাঙ্গনে।
প্রযোজকরা গানের পরিবর্তে নাটকেই বেশি বিনিয়োগ করছেন। কারণ সেখান থেকে গানের চাইতে দ্রুত সময়ে বিনিয়োগ উঠিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। তাই গান প্রকাশের সংখ্যাও বাড়েনি। অন্যদিকে স্টেজ শোও করোনার কারণে আয়োজন হচ্ছে খুব কম। যার কারণে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা রয়েছেন বেশ বিপাকে। গেল ভালোবাসা দিবসের গানের বাজার একেবারেই জমে উঠেনি। বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গান প্রকাশ করেছেন হাতেগোনা। সেখান থেকেও কোনো গানই তেমন একটা বের হয়ে আসেনি। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে সংগীতাঙ্গনে। সামনেই পহেলা বৈশাখ। এ দিবসকে উপলক্ষ করে বরাবরই শিল্পী-গীতিকার-সুরকার-সংগীত পরিচালক ও প্রযোজকরা নতুন গান প্রকাশের পরিকল্পনা করেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এবার সেই ধরনের প্রস্তুতি কম। খুব বেশি গানও পহেলা বৈশাখে প্রকাশ হবে না, এমনটাও ইঙ্গিত মিলেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। এদিকে সিনেমার ঘোষণা অনেক আসলেও, সিনেমার গান তৈরির হিড়িক সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে স্টেজ শো পুরোদমে শুরু না হওয়ায় গত বছরই অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ান পাড়ি জমিয়েছিলেন গ্রামে, অন্য কাজে। তাদের অনেকেই গান বাদ দিয়ে সেই কাজেই স্থায়ী হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, পরিস্থিতি ঠিক হতে সময় লাগবে। কারণ করোনা মহামারির ভ্যাকসিন এসেছে কিছুদিন হলো। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের চলতে হবে। এখনই স্টেজের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। করোনার প্রভাব চলতি বছর জুড়েই চলবে বলেই আমার ধারণা, যদিও সেটা কারোরই কাম্য নয়। কারণ শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারছেন না। আর নতুন গান প্রকাশও কম হচ্ছে। করোনা ছাড়াও এর বিভিন্ন কারণ আছে। এই সময়টায় ধৈর্য নিয়ে টিকে থাকাটা কঠিন। তারপরও চেষ্টা করে যেতে হবে। এ বিষয়ে চলতি প্রজন্মের সংগীত তারকা ইমরান বলেন, করোনার কারণে যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তবে ধীরে ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলেই মনে হয়। কারণ আমি নিজেই বেশকিছু শো করেছি গত কিছুদিনে। শো-এর সংখ্যা বাড়ছে, তবে সময় নিয়ে। আর নতুন গান প্রকাশ এমনিতেই খুব বেশি ছিল না। করোনার কারণে আরো কমেছে। এর প্রভাব চলতি বছরজুড়ে থাকবে। তবে আমি আশাবাদী, সব স্বাভাবিক হবে। আর দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে আমাদের সংগীতাঙ্গন। বিষয়টি নিয়ে এমআইবি’র সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের গানের অবস্থা এমনিতেই ভালো ছিল না। বিভিন্ন দিক থেকে আয় কমেছে। তাই বিনিয়োগ করাটাও কঠিন হয়ে পড়েছিল। আর করোনা মহামারি তো প্রথম কয়েক মাস সব এলোমেলো করে দিয়েছে। এখন আমরা উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। অবস্থা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। কারণ অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সেটা পুষিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাটা সময়সাপেক্ষ। এখন আমরা অল্প করে বিনিয়োগ করছি গানে। আশা করছি, চলতি বছরের মাঝামাঝি নাগাদ অবস্থা ঠিক হয়ে আসবে।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর