দিনে দুপুরে গলায় ছুরি দিয়ে গাইবান্ধার সাঘাটায় আতিকা সুলতানা (১৭) নামের এক কলেজ পড়ুয়া কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা। এ ঘটনায় গত শনিবার দুপুরে মা হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার জানান, শুক্রবার বিকালে হত্যাকাণ্ডের পর হামিদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে রাতেই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ফুলছড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক ক্বারী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী হামিদা বেগম ও বড় ছেলে তানজিল ক্বারীকে আসামি করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিহত আতিকার মা ও ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন জানান, আতিকা সুলতানার সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এই প্রেমের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি আতিকার পরিবার। এ নিয়ে শুক্রবার বিকালে মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মা হামিদা বেগম ও ভাই তানজিলের। পরে তারা উত্তেজিত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আতিকার গলা কেটে ফেলেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আতিকা সুলতানা। ওসি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত হামিদা বেগমকে আটক করা হয়। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি তানজিল ক্বারীরে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।