× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাউফলে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলারজমিন

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার

পটুয়াখালী বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে একটি খাল খননের জন্য বরাদ্দকৃত ৪৫ টন চাল কাজ না করেই উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় চন্দ্রদ্বীপের দিয়ারা কচুয়ায় খাল খননের জন্য ৪৫ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাফর সর্দারকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করা হয়। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (একাংশের) সভাপতি জাফর খান বলেন, বাউফলের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খেয়া নৌকা। কয়েক বছর আগে দিয়ারা কচুয়ায় তেঁতুলিয়া নদীর বুকে একটি চর জেগে ওঠে। এরপর থেকে খেয়া পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছর ওই চরে একটি খাল খনন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প কমিটির সভাপতি খাল খনন না করেই ৪৫ টন চাল উত্তোলন করে নিয়েছেন।
খেয়া ঘাটের মাঝি জাহাঙ্গীর ফরাজী বলেন, আগের মতোই চন্দ্রদ্বীপের জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। খালটি খনন করা হলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হতো। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর আলী হাওলাদার বলেন, খালটি খনন করা সময়ের দাবি।
খালটি খনন না করায় খেয়া চলাচল বন্ধের পথে। অবশ্য প্রকল্প কমিটির সভাপতি জাফর সর্দার আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খালটি খনন করেই চাল উত্তোলন করা হয়েছে। একই সুরে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ বলেন, খাল খনন করেই চাল উত্তোলন করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজীব বিশ্বাস বলেন, চাল আত্মসাতের সুযোগ নেই। খনন কাজ শেষ করতেই হবে। শিগগিরই প্রকল্পটি পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর