করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খেলাধূলা বন্ধ ছিল। যদিও গত বছরের নভেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে ক্রীড়াঙ্গনের বন্ধ দোয়ার। সাম্প্রতিক সময়ে বর্হিবিশ্বের ফের করোনার প্রকোপ বেড়েছে। তাই পিছিয়ে গেছে দু’টি আন্তর্জাতিক গেমস। একটি এশিয়ান ইনডোর মার্শাল আর্ট গেমস এবং অন্যটি এশিয়ান বিচ গেমস। অন্যদের মতো বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের জন্যও এটা হতাশার খবর।
চীনের সানিয়াতে গত বছর ২৮ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়ান বিচ গেমসের ষষ্ঠ আসর। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তার পিছিয়ে আনা হয় এ বছরের ২-১০ এপ্রিল। সম্প্রতি ইউরোপ ও এশিয়ায় করোনার প্রকোপ বাড়ায় দ্বিতীয় দফায় পিছিয়ে দেয়া হয় গেমসের আসর।
নতুন দিনক্ষণ অনুযায়ী আগামী বছরের ২-১০ এপ্রিল সানিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে গেমস। যদিও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকসেই অংশ নেয়ার কথা রয়েছে এই গেমসে। এদিকে ব্যাংককের চনবুড়িতে এ বছরের ২১-৩০ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়ান ইনডোর অ্যান্ড মার্শাল আর্ট গেমসের ষষ্ঠ আসর। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এই গেমসও। আগামী বছরের ১০-২০ মার্চ চনবুড়িতেই অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ডিসিপ্লিনের ২৯০টি ইভেন্টের এই গেমস। সাতটি ডিসিপ্লিনে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে চনবুড়ির এই গেমসে। এগুলো হলো- দাবা, শর্ট কোর্স সুইমিং ২৫ মিটার, তায়কোয়ান্ডো, কারাতে, ইনডোর রোইং, থ্রি নট থ্রি বাস্কেটবল ও ট্রেডিশনাল রেসলিং। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) সূত্রে জানা গেছে, পিছিয়ে গেলেও এই ডিসিপ্লিনগুলোতে অংশ নেবেন লাল সবুজের ক্রীড়াবিদরা।