কাশিমপুর সারদাগঞ্জ এলাকার অটোরিকশা চালক আবু জাফর ওরফে আকাশের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন প্রতিবেশী রুবেল হোসেন। এরই প্রতিশোধ নিতে রুবেলকে গলা কেটে হত্যা করে আকাশ। গতকাল দুপুরে এ নিয়ে জিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) জাকির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি সিটি করপোরেশনের সারদাগঞ্জ এলাকা থেকে রুবেল হোসেন নামের এক অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, ভিকটিম রুবেল হোসেন প্রতিবেশী এক নারীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতেন। এতে ওই নারীর স্বামী আবু জাফর ওরফে আকাশের সঙ্গে তার শত্রুতা তৈরি হয়। এরই জের ধরে আবু জাফর ওরফে আকাশ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার সহযোগীদের নিয়ে রুবেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট এলাকায় পতিত জমির ওপর রুবেলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ শুক্রবার রাতে কাশিমপুরের বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে মূল পরিকল্পনাকারী আকাশকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপর আসামি ফরহাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও ইজিবাইকের ব্যাটারি ক্রেতা রাশেদ আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আকাশের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রুবেল নওগাঁর রানীনগর থানার দেবরাগাড়ী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় অটোরিকশা চালাতেন বলে জানা গেছে।