× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাসিক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার

নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৫৩৯ বছরের পুরনো মুঘল আমলে নির্মিত একটি মসজিদ ভেঙে তার আশেপাশের জায়গা দখল করে সেখানে পার্ক এবং বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ করে গতকাল বিকালে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মণ্ডলপাড়া মসজিদ কমিটি। এ সময় মেয়র আইভী ও সিটি করপোরেশনের আগ্রাসন থেকে সুলতানি আমলের প্রাচীন এই মসজিদ এবং ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ বারের সভাপতি মুহাম্মদ মহসিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মোতোয়াল্লি সাখাওয়াত উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী মোতোয়াল্লি বরকত উল্লাহ খন্দকারসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মণ্ডলপাড়া মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরের মণ্ডলপাড়া এলাকায় প্রায় ৫৩৯ বছর পূর্বে বাবরীয় আমলে মুঘলরা একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে মরহুম মীর শরিয়ত উল্লাহর বংশধররা এই মসজিদ ও এর আশেপাশের জমি খাদেমি সূত্রে দেখভাল করেছেন কয়েকশ’ বছর ধরে। ১৯৮৮ সালের বন্যায় মসজিদটি পানিবন্দি হয়ে যাওয়ার পর পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন হলে প্রাচীন মসজিদটিকে স্মৃতি হিসেবে রেখে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এবং সমস্ত ব্যয়ভার মীর শরিয়ত উল্লাহ এস্টেটের পক্ষ থেকে বহন করা হয়। এক পর্যায়ে ওয়াকফ সম্পত্তিটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেদের বলে দাবি করলে নিম্ন ও উচ্চ আদালত মসজিদের পক্ষেই রায় দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সাল থেকে মসজিদের জমির ওপর নজর দেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। তিনি মৌখিকভাবে মসজিদের জায়গাটি কখনো সিটি করপোরেশনের কখনো নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করেন।
এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে এস্টেটের নিজস্ব জমিতে জোরপূর্বক উচ্ছেদ চালিয়ে মসজিদের ১৬টি ঘরের মধ্যে ১১টি ঘর ভেঙে দেন। বিষয়টি ওই বছরের ৮ই আগস্ট লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। পরে ওয়াকফ প্রশাসন লিখিতভাবে ২০১৭ সালের ১০ই আগস্ট ওয়াকফ সম্পত্তির সীমানা প্রাচীর চিহ্নিত করে সীমানার অভ্যন্তরে উচ্ছেদ না চালানোর জন্য সিটি করপোরেশনকে অবগত করেন। ২০১৮ সালের ১৮ই আগস্ট মসজিদের ১১টি ঘর ভেঙে ফেলায় এর ক্ষতিপূরণ চেয়ে মেয়র আইভী বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজও এর কোনো সদুত্তর পাইনি।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর