সোহেল রানা। অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক- সব ক্ষেত্রেই সফল তিনি। পৌনে তিনশত ছবিতে অভিনয় করেছেন। ৩৫টি ছবি প্রযোজনা এবং অর্ধশত ছবি পরিচালনা করেছেন। যদিও তার নায়ক খ্যাতির আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে প্রযোজক, পরিচালক পরিচয়। স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। চলচ্চিত্রের এই জীবন্ত কিংবদন্তি বর্তমানে কেমন আছেন? সোহেল রানা বলেন, এখন শারীরিক অবস্থা মোটামোটি ভালোই। টুকটাক রোগে ভুগছি।
বয়স তো অনেকই হলো। তারপরও রুটিন অনুযায়ী চলায় ভালো আছি সব মিলিয়ে। সিনেমার মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়? উত্তরে সোহেল রানা বলেন, বন্ধু যারা ছিল তারাই নিয়মিত খোঁজ নিত। যারা বেঁচে আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ৪৫ বছরে সিনেমার মানুষজনের সাথে কাজ করেছি। এই সিনেমার মানুষেরাই আমার আপনজন। যোগাযোগ না হলেও তারা আপনজনই থাকবেন। বর্তমান সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে কিভাবে দেখছেন? সোহেল রানা বলেন, সিনেমার বিকল্প অনেক মাধ্যম সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ইউটিউবে ঘরে বসে মানুষ সিনেমা দেখতে পারছে। আমার পুরোনো সিনেমাগুলোও দেখা যায়। তাই হলে গিয়ে সিনেমা দেখার হার কমে গেছে। এখন করণীয় কী? সোহেল রানা বলেন, নতুন কিছু দিয়ে দর্শকদের আবার হলমুখী করা যেতে পারে। পরিচালক হিসেবেও আপনি সফল। এ কাজটা কেমন উপভোগ করেছেন? এ অভিনেতা বলেন, প্রথম দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত টপ ৩ জন পরিচালকের একজন ছিলাম। অবশ্যই উপভোগ করেছি। অভিনয় কিংবা নির্মাণে ফিরবেন? সোহেল রানা বলেন, অভিনয় কিংবা নির্মাণ আর করবোই না এমনটা বলতে পারবো না। তবে ভালো চরিত্র বা গল্প হলে অভিনয় করতে পারি।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই চলচ্চিত্রে নাম লেখান সোহেল রানা। প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘ওরা ১১ জন’ ছবির মাধ্যমে। প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও পরে হয়ে গেলেন নায়ক। ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিষেক তার।