কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের  জুমপাড়া ও চট্টগ্রামের  বাঁশখালী পুঁইছড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরে পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন চলছে প্রতিনিয়ত। ওই এলাকার ভোটার টইটং ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে হলেও কিন্তু ভূমি  সীমানা পড়েছে পুঁইছড়ি বিট কর্মকর্তার অধীনে। তাই বালু উত্তোলন বন্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না কোন বিট কর্মকর্তা। সংরক্ষিত বন হয়ে যাচ্ছে উজাড়। বন রক্ষীদের আশ্রয়ে কর্তন করা হচ্ছে বনের গুরুত্বপূর্ণ গাছ। ওই গাছ রাতে জুম স্টেশন হয়ে পাচার হয় টইটং ও পেকুয়ার বিভিন্ন করাত কলে। বনের ভেতর ১০/১২টির মতো অবৈধ বালু মহাল রয়েছে।  শুষ্ক মওসুমেও পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টইটং ইউনিয়নের জুম পাড়া, পুঁইছড়ি বন বিটের অধীনে রিজার্ভ জায়গায় চলছে বালু উত্তোলন। এসব অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িত স্থানীয় নুরুল কাদেরের পুত্র আবদুল গফুর, ওসমান গণি প্রকাশ পুতুন,নাছির উদ্দীন সহ কয়েকটি সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বালু বিক্রি করা টাকার একটি অংশ চলে যায় বিট কর্মকর্তার কাছে। তবে পুঁইছড়ি বন কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম মসোহারা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এখন বাগান নিয়ে ব্যস্ত, শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করব।