জুয়ার আসরে ধার নেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক নারীকে তিন মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় গত শনিবার মামলার পর অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চণ্ডিপুর গ্রামে। গ্রামবাসী জানান, একই গ্রামের আনারুল ইসলাম তার স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আনারুল ধর্ষিতা ওই মহিলার স্বামী মোমিনুলকে প্রায়ই জুয়ার আসরে টাকা ধার দিতো। এক পর্যায়ে ধারের পরিমাণ বেড়ে যায়। ধার নেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মোমিনুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে আনারুল ইসলাম টাকার জন্য ওই বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে।
বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে রাতে আনারুল ইসলাম তার ঘরে ঢুকে জোর করে মোমিনুল ইসলামের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত তিন মাস ধরে তার বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ করে। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর মোমিনুল বাড়ি ফিরলে তাকে ধরে নিয়ে জমি বন্ধক রাখার কথা বলে আনারুল রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে মোমিনুলের কাছ থেকে সাড়ে ৭ শতক জমিও দলিল করে নেয়। এক পর্যায়ে সে মোমিনুলের ঘরে তালা দিয়ে দখল নেয়। এ ঘটনায় নিকটস্থ ধুবনী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করতে গেলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। গত শনিবার রাতে এ ঘটনায় ধর্ষিতা ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষক আনারুল ইসলামকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই পুলিশ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল আনারুল ইসলামকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।