যে ভাবে ভালো হয় সেভাবে করা উচিত,
আমার আত্মীয় নানা সক্রিয় মুক্তিজুধা কিন্তু তালিকা নাই, উনি তালিকায় নামও উঠান নাই।তারা কি কোনও সম্মান বা সঅরকারি সুবিদা পাবেন্না।
যাচাই-বাছাইকালে লাল মুক্তিবার্তার ৩০ শতাংশ লোকই যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই বলতে পারেননি। --------ওনারা অংশগ্রহণকৃত অপারেশন গুলোর বিস্তারিত লিখে মুখস্ত করে রাথলে তা বাছাই কমিটিতে গিয়ে বলতে পারতো! দেশ স্বাধিন হলে ভাতা, চাকুরি ইত্যাদি মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হবে এমন আশা নিয়ে খুব কম লোকই যুুদ্ধে যোগ দিয়েছিল; কমপক্ষে 'যে কোন ভাবেই হোক' মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিল না এমন ষাটোর্ধ কোন লোক তালিকা ভুক্ত হতে এসেছে তা বিশ্বাস করা খুবই কঠিনা। যে লঙ্কায় যায় সেই রাবন! খোদ বাছাই কমিটিতেই বিতর্কিত লোক রয়েছে বলে কানাঘুশা শোনা যায় কিন্তুু তারা এমনই ক্ষমতাবান যে সাধারন মুক্তিযোদ্ধরা এ নিয়ে কথা বলতেই ভয়় পায়। অতএব মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যা হচ্ছে তা হল খামখেয়ালি মস্তিষ্ক উৎসারিত 'মস্করা' ; এর চেযে ভাল শব্দ এই মুহুর্তে আমি খুঁজে পেলাম না!
সারাদেশে অনৈতিকভাবে, মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের যোগ সাজসে এবং প্রত্যক্ষ ইন্ধনে বেড়েই চলেছে অমুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করণের কর্মযোগ্য। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে, মুক্তিযোদ্ধাদের অর্জন, সন্মান ও মর্যাদাকে ভুলন্ঠিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভূঁয়ার আবির্ভাব ঘটেছে বিএলএফ ধারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। ভূঁয়া সার্টিফিকেট প্রদান, আত্মীয়-স্বজন, দলীয় দৃষ্টিকোন ও অনৈতিক আর্থিক লেনদেন এর মাধ্যমে হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। যা ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অশনি সংকেতের বার্তা বয়ে আনবে। অনতিবিলম্বে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সমন্বয়ে টিম গঠন করে, সঠিক যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে, ভূঁয়াদের বাদ দিয়ে একটি স্বচ্ছ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের দাবী জানা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজ
১ মার্চ ২০২১, সোমবার, ৭:৪৫বদিউজ্জামান সাহেব তার মত সঠিকভাবে দিয়েছেন। একমাত্র ভারতীয় তালিকা ভুক্ত মুক্তি যোদ্ধারাই সঠিকভাবে মুক্তি যোদ্ধা বাছাই করতে সক্ষম। বেশির ভাগ রাজনৈতিক নেতা/সাংসদ গণ মুক্তি যুদ্ধ কালীন সময়ে ভারতের বিভিন্ন শহরে ছিলেন, তারা সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করতে পেরেছেন বলে মনে হয়না। তাছাড়া স্বহানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরাও সততার সাথে যাচাই বাছাই করেননি বলেই মনে হয়। তাছাড়া বর্তমান তালিকায় ৩০-৪০% মুক্তি যোদ্ধা সঠিক নয় বলে বিশ্বাস করি। সচিব পর্যায়ে যখন এতো জন ভুয়া পাওয়া গেছে, এখনো যাচ্ছে তখন নীচের পর্যায়ে কতজন এরকম ভুয়া আছ তা আন্দাজ করাই যায়।যুদ্ধ কালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর গিয়াস উদ্দিন অবঃ ( সেক্টর -২)