ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগে ৫ প্রতারককে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আল আমিন ওরফে জমিল শরীফ, খ ম হাসান ইমাম ওরফে বিদ্যুৎ, আব্দুল্লাহ আল শহীদ, রেজাউল ইসলাম ও শাহ জাহান। তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। যার নম্বর- ঢাকা মেট্রো-গ-২০-৩৭৯৭। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ভুয়া এনআইডি, টিনসহ অন্যান্য তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে খিলগাঁও ও পল্টন থানায় মামলা হয়। এ মামলা তদন্ত শুরু করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।
তদন্তে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, প্রতারক চক্রটি ভুয়া এনআইডি, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, ভুয়া টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডসহ অন্যান্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফ্ল্যাট লোন নিয়ে পরিশোধ না করে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে বিপ্লব নামে একজনকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে বিপ্লব জানায়, ভুয়া এনআইডি তৈরির সঙ্গে জড়িত নির্বাচন কমিশন অফিসের নিচের শ্রেণির কিছু অসাধু কর্মচারী। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে গ্রেপ্তারের পর তিনি ১ মার্চ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া তথ্যে ডিবি পুলিশ প্রতারক চক্রের মূলহোতা আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। আল আমিনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন লোকদের সন্ধান পাওয়া যায়।
তার দেয়া তথ্য মতে, বিদ্যুতকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিদ্যুৎ ও আল আমিন তাদের অন্যান্য সহযোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী কখনো ক্রেতা আবার কখনো বিক্রেতা, কখনো জমির মালিক কখনো ফ্ল্যাটের মালিক সাজায়। আব্দুল্লাহ আল শহীদ ভুয়া এনআইডি তৈরির মিডলম্যান হিসেবে কাজ করে। রেজাউল ইসলাম ও শাহ জাহান ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট তৈরি করে।