মাছ ধরতে বিলে গিয়েছিলেন হযরত মোল্লা (৬০)। কিন্তু মাছ নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী মনি বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার ১০ দিনের মাথায় উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের কুমুল্লি বিলে একটি পুকুরে অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া যায় হযরত মোল্লার লাশ। গতকাল দুপুরে মির্জাপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত হযরত মোল্লা ওই ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি কুমুল্লি বিলে পুকুর সেচতে যায় হযরত মিয়া।
দিনভর পুকুর সেচের পর রাত ১টার দিকে কিছু মাছ নিয়ে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। নিহত হযরত মোল্লার ছোট ছেলে সুজন মোল্লা অভিযোগ করেন, তার বাবাকে অবশ্যই খুন করা হয়েছে। সৎ মায়ের সঙ্গে জায়গা জমি নিয়ে তাদের বিবাদ ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন পিপিএম বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।