× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরের জামিন

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৪ মার্চ ২০২১, বৃহস্পতিবার

৩০১ দিন কারাগারে থাকার পর অবশেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন.কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
আদালত বলেন, কিশোর যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছেন এবং এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর দিদারুল ভূঁইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টের এই বেঞ্চ থেকে জামিন পেয়েছেন, সেই বিবেচনায় আহমেদ কবির কিশোরকে ছয় মাসের জামিন দেয়া হলো। আদালতে কিশোরের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, আহমেদ কবির কিশোরের নামে আর কোনো মামলা নেই। ফলে তার মুক্তি পেতে বাধা নেই। এ প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে। ডিএজি সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ১০ মাস ধরে কারাগারে আছেন।
মূলত এই বিবেচনায় তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে আদালত। মামলাটির যে পুনঃতদন্ত চলছে, আগামী ১৫ই মার্চ তার প্রতিদেবন জমা দেয়ার তারিখ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সর্বশেষ অবস্থাটা আদালতে তুলে ধরেছে। আর আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে কিনা সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কবির কিশোরের বড় ভাই আহসান কবির মানবজমিনকে বলেন, এই ১০টি মাস আমাদের পরিবার একটি দুঃসহ সময় পার করেছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে জামিনের বিষয়ে চরম উৎকণ্ঠায় ছিলাম। অনেক সংগ্রামের পর অবশেষে জামিন মিলেছে এটি আমাদের জন্য সুখবর এবং আনন্দের বিষয়। আমরা চেষ্টা করবো যেন ৬ মাস পরেও জামিন বহাল থাকে।
তিনি বলেন, কিশোর কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হলে তাকে আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করবো। কারণ তার কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। সে জানিয়েছিল নির্যাতনের ফলে তার ডান কানে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। এ ছাড়া আরো কিছু শারীরিক সমস্যা আছে সেজন্য হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে চাই।
নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের মে মাসে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে আটক করে র‌্যাব। কিশোর ও মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি পুলিশ কিশোর, মুশতাক ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পুলিশ জানায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাকি সাত আসামি সাংবাদিক তাসনীম খলিল, সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার বিদেশে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ১০ই ফেব্রুয়ারি এই মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। এ মামলায় প্রায় ৯ মাস কারাগারে আছেন কিশোর, তার সঙ্গে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদ গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এই দু’জনই আদালতে ছয়বার আবেদন করেও জামিন পাননি। সবশেষ মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন হাইকোর্টে নাকচ হয় প্রায় দুই মাস আগে। গতকাল হলো কিশোরের জামিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর