প্রথম লেগে সেভিয়ার সঙ্গে ২-০ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনা। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে কাতালানদের কঠিন সমীকরণ মেলাতে হতো। বুধবার রাতে ন্যু-ক্যাম্পে ৩-০ গোলের জয়ে সেই পরীক্ষায় উতরে গেলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। শুরুতে দেম্বেলের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে টানা দুই গোল করেন পিকে ও ব্র্যাথওয়েট। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে কোপা দেল রে’র ফাইনালে পৌঁছালো বার্সেলোনা।
ঘরের মাঠে ৬৮ শতাংশ বল দখলে রাখা বার্সেলোনা শুরুতেই এগিয়ে যায়। দ্বাদশ মিনিটে উসমান দেম্বেলে লিড এনে দেন দলকে। এসময় দেম্বেলেকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান মেসি। কিন্তু ফরাসি স্ট্রাইকারকে পাসের সুযোগ দেয়নি সেভিয়ার খেলোয়াড়রা।
ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন দেম্বেলে।
৩০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং। বাঁ দিকের বাইলাইন থেকে মেসির গোলমুখে বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। এর দুই মিনিট পর সেভিয়াকে রক্ষা করেন মার্কোস আকুনা। ছয় গজ বক্সে মেসির শট এক জনের পায়ে লেগে উঁচু হয়ে ফাঁকা জালে জড়াতে যাচ্ছিল। কিন্তু ত্রাতা হয়ে দলকে বাঁচান এই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় বার্সেলোনা। ৬৭তম অল্পের জন্য গোলের দেখা পাননি জর্ডি আলবা। এসময় দেম্বেলের ক্রসে স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের দারুণ ভলি ক্রসবারে লেগে ফিরে যায়।
৭১তম মিনিটে লুকাস ওকাম্পোসের দুর্বল স্পটকিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান টের স্টেগান। এসময় বার্সেলোনার ডি-বক্সে ওকাম্পোসকে ফাউল করেন ডিফেন্ডার অস্কার মিনগেসা।
জয় যখন প্রায় নিশ্চিত সেভিয়ার, সেই সময়ই শুরু হয় নাটকীয়তা। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সেভিয়ার ফের্নান্দো। এরপরই আরো মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। দুই মিনিটের ঝড়ে দুই গোল নিয়ে হারা ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছায় তারা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রসে হেডে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান পিকে। এক মিনিটের ব্যবধানে জয়সূচক গোলটি করেন ব্র্যাথওয়েট। আলবার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে হেডে স্কোর করেন এই ডেনিশ স্ট্রাইকার।