× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মির্জাগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

বাংলারজমিন

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
৫ মার্চ ২০২১, শুক্রবার

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করেছেন। নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও ইউপি সদস্যরা। এসব অভিযোগে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য জামাল হাওলাদার।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৩২৫টি ভিজিডি’র নাম আসে। নাম প্রতি চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে ২ হাজার টাকা। এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে গভীর নলকূপ প্রতি সাধারণ মানুষকে গুনতে হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া নলকূপের প্ল্যাটফরম তৈরি করতে ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও তা না করে সমুদয় টাকা তিনি নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ৭নং ওয়ার্ডে এলজিএসপি’র অর্থায়নে ৫টি নলকূপ স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। দু’টি স্থাপন না করে পুরো টাকাই ইউপি সদস্য জামালের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর দেয়ার নাম করে ২০-৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য নাম অন্তর্ভুক্ত করতে প্রথমে ৩ হাজার এবং ভাতা হাতে পাওয়ার পর ২৫০০ টাকা দিতে হয় চেয়ারম্যানকে। ৪০ দিনের সব প্রকল্পেও ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় ৫ ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আকন, আমিনুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, লিয়ন হাওলাদার ও জামাল হাওলাদারকে ২০১৭ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর পিটিয়ে আহত করে তার লোকজন। ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের বারেকের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, নলকূপের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছে। নলকূপ দেয়ার পর আরো ৫ হাজার টাকা না দেয়ায় প্ল্যাটফরম করে দেয়া হয়নি। বরং আমাদের ৫ হাজার টাকার পাইপও কেনা লাগছে। অভিযোগের ব্যাপারে মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এর আগেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমি কোনো টাকা পয়সা নেইনি। অভিযোগ হলে সত্যতা যাচাই করে দেখুক। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর