নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠের লড়াই। কিন্তু সেই মাঠের ঘাসে পা রাখতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হলো কিনা ৮ দিন! হ্যাঁ, গতকাল বাংলাদেশ দল সেল্ফ আইসোলেশন শেষে মুক্ত হওয়ায় প্রাণভরে নিয়েছে নিঃশ্বাস। সেই সঙ্গে ঘাসের বুকে পা ভিজিয়ে শুরু করেছে প্রস্তুতি। তবে যে মুক্ত বাতাসের অপেক্ষা ছিল তাদের এবার সেই বাতাসের সঙ্গেই মানিয়ে নেয়ার যুদ্ধ। কারণ, ব্লাকক্যাপস ছাড়াও আরেক প্রতিপক্ষের নাম ‘তীব্র বাতাস’। তাই মাঠে নেমেই এর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার অনুশীলন দিয়ে নিউজিল্যান্ড মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। বিশেষ করে বোলার ও ফিল্ডারদের জন্য এই বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াই কঠিন কাজ। এ বিষয়ে দলের তরুণ পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) প্র্যাকটিসে আমরা আগে ফিল্ডিংটা নিয়ে কাজ করেছি।
যেমন শর্ট ক্যাচ এবং হাই ক্যাচ নিয়ে। কারণ, এখানে ওয়েদার এবং বাতাসের একটা ব্যাপার থাকে। এটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য ক্যাচিং করা। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং এবং বোলিং করি। এবং শেষে একটু ফিটনেস করি, যেহেতু আমরা সাত দিন ফিটনেস খুব বেশি করতে পারিনি। যার কারণে আমরা রানিং করি, ট্রেইনারের ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী আমরা রানিংটা করলাম। তো আরও যতদিন সময় পাব, ছোট ছোট ট্রেনিং করে নিজেকে এডজাস্ট করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছে টানা ৭ দিন হোটেল রুমে দিনে সাড়ে ২৩ ঘণ্টা বন্দি থেকেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ড সরকারের কঠোর আইন বাইরে থেকে আসা দেশি-বিদেশি সকল নাগরিকের জন্য। বাংলাদেশ দলকেও তাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়েছে কোভিড প্রটোকল। এখানেই শেষ নয়, আগামী ৭ দিনও বাংলাদেশ দলকে থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের সব ক্রিকেটার ৩ দফায় করোনা নেগেটিভ হওয়ায় গতকাল থেকে মিলেছে মাঠে অনুশীলনের সুযোগ। এই বিষয়ে সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম ৭ দিন হোম কোয়ারেন্টিন করার পর আজকে অষ্টম দিনে প্রথম ছোট ছোট গ্রুপে অনুশীলনে গেলাম। ওভারঅল সব মিলিয়ে ভালো ছিল। যদিও প্রথমবারের মতো অভিজ্ঞতা হলো। যেহেতু আমরা অ্যাজ এ স্পোর্টসম্যান সব ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি।’
নিউজিল্যান্ডে আগামী ২০শে মার্চ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে মাঠের লড়াই শুরু করবে তামিম ইকবালের দল। কিউইদের মাটিতে বাংলাদেশ দল ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটেই এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি। আর সেই কারণেই এবার ইতিহাস পরিবর্তন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ টাইগাররা। আত্মবিশ্বাসী তরুণ পেসার সাইফুদ্দিনও। তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে কারণ ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো টিম। তো আমরা যদি সবাই আমাদের ভালো খেলতে পারি, দিনটা যদি আমাদের হয়, অবশ্যই রেজাল্ট আমাদের পক্ষে কথা বলবে। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিও আছে, যেহেতু এর আগে আমাদের প্রাপ্তির খাতা একদমই শূন্য, তো আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিরিজ থেকে কিছু নিয়ে যেন দেশে যেতে পারি।’