অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১০ মাস কারাভোগের পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। গতকাল বেলা ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি মুক্তি পান। পরে একটি সাদা রঙের গাড়িতে করে কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন। এর আগে বুধবার হাইকোর্ট তার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর অভিযোগ করেছেন গ্রেপ্তারের পর তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। মুক্তিপাওয়ার পরপরই মোবাইল ফোনে তিনি ঢাকার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারকে বলেন, মাত্র কারাগার থেকে বের হয়েছি। বড় ভাইয়ের সঙ্গে হাসপাতালে যাব।
তবে, হাসপাতালে যাওয়ার আগে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করে, পরামর্শ করে, তারপর হাসপাতালে যাব। হাসপাতালে কেন, বাসায় যাবেন না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কিশোর বলেন, আমি তো বাসায় যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। গ্রেপ্তারের পর আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। বাম পায়ে এখনো ব্যথা। ভালোমতো হাঁটতে সমস্যা হয়। দাগ রয়ে গেছে। আমার কানে আঘাত করা হয়েছে। এখনো কান থেকে পুঁজ বের হচ্ছে। শুনতে অসুবিধা হয়। কারাগারে চিকিৎসা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কী বলবো! আমার অল্প ডায়াবেটিস ছিল। কারাগারে অব্যবস্থাপনার মধ্যে থেকে, চিকিৎসা না পেয়ে সুগার লেভেল অনেক বেড়ে গেছে। শরীর অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছি।
সন্ধ্যায় সাদা একটি শার্ট, প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় বড়ভাইকে সঙ্গে নিয়ে যান আইনজীবীর কাকরাইলস্থ চেম্বারে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেখান থেকে যখন বের হন হাঁটতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল তার। অন্যের হাত ধরে সাহায্য নিচ্ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ছাড়াও জাতির জনকের প্রতিকৃতি, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলার আরেক আসামি মুশতাক আহমেদের ৬ বার জামিন আবেদন নাকচ হয়েছিল আদালতে। গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি কারাগারে মৃত্যু ঘটে লেখক মুশতাক আহমেদের।
Nurun Nabi
৫ মার্চ ২০২১, শুক্রবার, ৯:৪৬To Home Minister. What is Freedom of Expression ? Can I express Freely ?